জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃনীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌরসভার বর্জ্য ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি অবৈধ দখলের অভিযোগ মিলেছে। আকস্মিক বন্যায় নদীর পাড়সহ জনবসতিতে ধ্বস নামতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, সৈয়দপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কয়াগোলাহাট ডাঙ্গাপাড়া বাবুলাল মুচির বাড়ি সংলগ্ন পঁচানালা খালের ব্রীজের পাশে পাউবো’র ১২ শতক একটি খাল রয়েছে। অতিবৃষ্টি বা আকস্মিক বন্যার অতিরিক্ত পানি ওই খাল হয়ে ধীরে ধীরে পঁচানালা খালে পড়তো।

কিন্তু ওই খালের পাশের জমির মালিক মোক্তার হোসেন গত দুই বছর ধরে সৈয়দপুর পৌরসভার গাড়ি ব্যবহার করে পৌর বর্জ্য ফেলে ১২ শতকের ওই খালটি ভরাট করে। বর্জ্যরের দূর্গন্ধে ভোগান্তি পোহান এলাকাবাসীসহ অসংখ্য পথচারী। অবৈধ দখলে যাতে কেউ বাঁধা না দেয় সেজন্য তিনি ভরাট করা জায়গায় আইনজীবী ছেলের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন।

অন্যদিকে, ওই খালের পাশের জমির আরেক মালিক রব্বেল হোসেনও বাঁশের বেড়া লাগিয়ে ঘাস চাষ করে পাউবো’র জমি দখলে রেখেছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, এতোদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে সরকারী জায়গা ভরাট করা হলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেউ দেখলো না? নাকি দেখেও না দেখার ভান করেছেন।

২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না সরকার বলেন, আমার জানা মতে ২০১৪ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর পওর বিভাগের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ ভূমিহীন কছিমুদ্দিন ওরফে ফকিরকে ওই ১২ শতক জায়গা দেখভালের লিখিত অনুমতি দেন। কিন্তু অন্যরা ওই জমি কার অনুমতিতে ভরাট করলেন তা আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর-১ পওর শাখার কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাউফুল হাসান রনি বলেন, আমি নতুন এসেছি। পাউবো’র জায়গা অবৈধ ভাবে কেউ ভরাট করে থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে