জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পোড়াহাট ডিসি হইতে রেলওয়ে ব্রিজসপ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক রিপাইরিং কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাস্তার কার্পেটিং কাজের গুনগত মান খারাপ করা হচ্ছে। ধুলো-ময়লার উপরই যত্রতত্র করা হচ্ছে কার্পেটিং কাজ। আর তড়ি ঘড়ি করে রাস্তার ধুলো পরিস্কার না করেই যত্রতত্র ভাবে কার্পেটিং করায় অনেক জায়গায় পাথর উঠে যাচ্ছে।

সৈয়দপুর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে সৈয়দপুর উপজেলার গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পোড়াহাট ডিসি হতে রেলওয়ে ব্রিজসপ পর্যন্ত ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৮৫ টাকা চুক্তি মূল্যে ৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রিপাইরিং কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিশা ট্রেডার্স নীলফামারী ডিমলা। এ কাজটি অনেক আগে শুরুর কথা থাকলেও কয়েক দিন আগে কাজ শুরু করেন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আফতাব আহমেদ। পরে জানা যায় কাজটি বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল হোসেনকে শেল্ডার হিসেবে কাজ করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার দুপুর ১১ টায় সরোজমিনে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের করোনা বাজার সংলগ্ন রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা ভালোভাবে পরিষ্কার না করেই ধুলা-ময়লার উপর কার্পেটিং কাজ করা হচ্ছে। আর কার্পেটিং কাজে ব্যবহ্নত পাথরে কোন পিচ মিশ্রিত নেই বললেই চলে। যেন তড়ি ঘড়ি করে যত্রতত্র ভাবে কার্পেটিং করায় একটুতেই অনেক জায়গার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক নাম না জানার শর্তে বলেন, রাস্তার কাজ ভালো হচ্ছে না। আমরা কি কবো? আমরা তো সাধারণ মানুষ। যারা নেতা-খেতা তারাই কিছু কয় না। আর আমাদের কথা তো কেউ শুনবে।

এবিষয়ে ঠিকাদার আফতাব আহমেদ এর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান,কাজটি আমার না বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবলুর,আপনারা তার সাথে কথা বলেন।তারপর বাবলু মেম্বার এর সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,কাজটি আমি করছি এরপর প্রশ্ন করা হলে আপনি কি ঠিকাদার বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে উপজেলায় জরুরী কাজ আছে বলে বিষয়টি এরিয়ে দ্রুত চলে যান।

কাজে নিয়োজিত লেবার সরদারা বলেন, সামান্য টুকু এলাকায় স্কুলের ছেলে মেয়েদের পায়ের ধুলো-ময়লা এসেছে। কাজে নিয়োজিত লেবারদের ধমক দিয়ে বলেন-এই এখানে আবার ভালো ভাবে পরিস্কার কর।
আর রাস্তার কাজ দেখার দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ হতে যারা রয়েছেন তারা-ও যেন দেখেও না দেখা’র ভাং করছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী আলী রেজা রাজু বলেন, এই ভাবে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। সরেজমিনে গিয়ে যদি অনিয়ম দেখা যায় তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে