জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে ক্রমেই শীত জেঁকে বসছে। প্রতিদিনই ঘন কুয়াশার সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়া আর হালকা শিশির অব্যাহত থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কনকনে ঠান্ডায় কাতর হতদরিদ্ররা শীত নিবারণে সরকারী সহায়তার আশায় দিন গুনছে।

বিগত ৪ দিন থেকে সূর্যের দেখা নাই। দিন দিন কমছে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারী) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বুধবার ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস শুক্রবার (১২জানুয়ারী) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস গতকাল শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷

চলতি সপ্তাহেই দেশের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার শিকার হয়েছে এই জনপদ। সব মিলিয়ে শীতে জুবুথুবু উত্তরাঞ্চলবাসী।

সৈয়দপুর হলো দেশের অষ্টম বানিজ্যিক শহর। সকাল হলেই যে যার কাজে বেড়িয়ে পড়েন। কিন্তু শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সকলেরই কাজ কর্ম থমকে গেছে। কর্মজীবীরা সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না। শীতের তীব্রতায় শহর সহ গ্রামের হাট বাজার গুলোতে কমে যাচ্ছে মানুষের আনাগোনা।

দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শ্রমজীবি নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষেরা। গরম কাপড়ের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটছে তাদের। সরকারী সহায়তার আশায় রয়েছেন তারা। কিন্তু এখনও কোন উদ্যোগ নেই ইউনিয়ন পরিষদসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের জন প্রতিনিধি ও প্রশাসনের।

সকাল-সন্ধা খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। শহর ও গ্রামের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো সহ উপজেলার হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত ডায়ারিয়া, টাইফয়েড সহ জ্বর-স্বর্দি রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বেশি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে