khadija

ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে জখমের ৩৬ দিন পর আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে একমাত্র আসামী করা হয়েছে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা। তিনি জানান সিলেট মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

তদন্ত কর্মকর্তা শাহ পরান থানার এসআই হারুনুর রশিদ বলেন, বদরুল হামলা করেছেন বলে একাধিক প্রমাণ রয়েছে পুলিশের হাতে। হামলার সঙ্গে আর কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। বদরুলকে একমাত্র আসামি দেখিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

‘বদরুল হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তার অপরাধ সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত’, বলেন এসআই।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মুখপাত্র রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, খাদিজার ওপর বর্বর হামলার ঘটনায় শাহপরাণ থানার চার্জশিট নম্বর ১৯৫ তারিখ ৮ নবেম্বর ২০১৬। চার্জশিটে বদরুলের বিরুদ্ধে ৩২৪, ৩২৬ ও ৩০৭ দণ্ডবিধির অপরাধ উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ মসজিদের পেছনে মানুষের সামনে দা দিয়ে কলেজছাত্রী খাদিজাকে কোপাতে থাকে বদরুল আলম। গুরুতর আহত খাদিজাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ওসমানী হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাকে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। গত ১৭ আগস্ট বিকেলে খাদিজার দুই হাতে সফল অস্ত্রপচার হয়েছে।

এ ঘটনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাছলয়ের (শাবি) ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বদরুলকে আসামি করে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেছেন খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে