জি, এম স্বপ্না, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক- মহাসড়কে আইন অমান্য করে ওভার লোড নিয়ে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য দশ চাকার ডাম্পার বালু/মাটি বাহী ট্রাক। এসব ট্রাকে বেশির ভাগই বালু বহন করলেও নজর নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। যেগুলোর ওজন সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ টন। এ ধরনের ট্রাক অতিরিক্ত লোড নিয়ে সাধারন রাস্তায় চলাচল করায় রাস্তা দেবে বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিদিন রাস্তায় যানজটের সৃষ্টির পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারন পরিবহন চালক, যাত্রী,শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থানার নলকা সেতু হতে বকুলতলা ব্রীজ এলাকায় ফুলজোড় নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বকুল তলা,হাটকান্দা, ফুলজোড় কলেজ পাড়া পয়েন্ট থেকে এসব ট্রাকে বালু নিয়ে নলকা- হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাজে মাটি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও সলঙ্গা থানা সদর ডিগ্রী কলেজ এলাকা সহ থানার বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি সম্পদের ক্ষতি সাধনে শাস্তির বিধান থাকলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় দিন রাত অবাধে চলাচল করছে বালুবাহী মাজদা ট্রাকসহ দশ চাকার এসব ডাম্পার।

এলাকাবাসী জানায়, বালু বহনকারী বেপরোয়া যান চলাচলে ধুলো-বালি উড়ে রাস্তার দু’পাশের ঘর-বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই রাস্তায় চলাচলকারী অটোরিক্সা,ভ্যান,ভুটভুটি,মোটর সাইকেল আরোহী সহ পথিকেরা ধুলায় হাবুডুবু খাচ্ছেন।

অটোরিকশা চালক জামাল বলেন, আমি ফুলজোড় কলেজ হতে গ্রামপাঙ্গাসী পর্যন্ত আঞ্চলিক পাকা রাস্তায় অটোরিকশা চালাই, রাস্তাটি খুবই সরু। তারমধ্যে সব সময় ১০ চাকার ট্রাক চলাচল করায় আমাদের চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ সব গাড়ি চলাচলে রাস্তায় চরম ধুলার কারনে যাত্রীরা আমাদের রিক্সায় উঠতে চায় না।মাঝে মধ্যে কলেজ পাড়ায় যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। এর কোন প্রতিকার না হওয়ায় অটোচালকদের আগের চেয়ে আয় কমে গেছে। সিএনজি চালক নাসির,মেনহাজ,মান্নানসহ অনেকেই বলেন, কয়েক বছর ধরে নুরনগর চর-নদী হতে বালু তুলে এলাকায় অবৈধ বালুমহাল করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। গাড়ি চলাচলে এলাকায় ধুলার স্বর্গরাজ্যে পথচারীদের নাভিশ্বাস হলেও এ ভোগান্তির শেষ কোথায়?

স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় ১০ চাকার ডাম্পার ট্রাক চলাচলের কারণে বকুল তলা হতে কলেজ পর্যন্ত পাকা রাস্তা খানাখন্দসহ চরম ভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফুলজোড় কলেজের অধ্যক্ষ সাহেদ আলী জানান, এলোপাথাড়ী গাড়ি চলাচল আর রাস্তায় প্রচন্ড ধুলার কারনে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। নিয়মিত রাস্তায় পানি না দেয়ার কারনে পথচারী সহ শিক্ষার্থীদের নাকে মুখে ধুলাবালি ঢুকে জ্বর, সদ্দি, ঠান্ডা,হাঁচি-কাশি রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। ভুক্তভোগী মহল,সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল জানান,রাস্তায় জনদুর্ভোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম,জরুরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে