abdulhamid

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৭ই মে১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এক বাণীতে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল এক মাইলফলক।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশ ধাপে ধাপে সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু তার চলার পথ মসৃণ ছিল না উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এ সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানীতে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তীতে ছয় বছর লন্ডন ও দিল্লীতে তাদের চরম প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়।

তিনি বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে পাবর্ত্য শান্তিচুক্তি এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি, ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ কর্মসূচি দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করবে। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে তার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলার ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ক্ষমতায় আসে এবং জনকল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এ সময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রামীণ অবকাঠামো, বৈদেশিক কর্মসংস্থানসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করে বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে বর্তমানে সরকার পরিচালনা করছে। এতে জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি এবং নিজস্ব অর্থায়নে দেশের বৃহত্তম প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। সমুদ্রে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত স্থল সীমানা নির্ধারণ তথা ছিটমহল বিনিময় চুক্তিসহ গণমানুষের কল্যাণে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগে ১৯৮১ সালে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা ছিল আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দের এক দূরদর্শী সিদ্ধান্ত।

সূত্র : বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে