গোলাপগঞ্জ (সিলেট) থেকে, আজিজ খানঃ গোলাপগঞ্জে বৃত্তি ও শিক্ষকপদক বিতরণ কালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. হোসেন আল মামুন বলেছেন, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে পারলে তাদের কাছে ভালো ফলাফলের আশা করা যায়। শিক্ষার্থীর পাশাপাশি শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা দানের লক্ষ্যে শিক্ষক পদক প্রদান একটি ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্দ্যোগ। আমাদের সমাজে ভালো মানুষের অভাব, শিক্ষকগণ ভালো মানুষ গড়তে অবদান রাখেন। তিনি গতকাল শনিবার গোলাপগঞ্জে এহিয়া আহমদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত বৃত্তি বিতরণ, শিক্ষক পদক ও অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত কথাগুলো বলেন।
গোলাপগঞ্জ জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে পরিষদের উপদেষ্টা, জামেয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল জিন্নুর আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে, পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আহমদ চৌধুরীর উপস্থাপনায় ও জামেয়ার ছাত্র মুমাদ আহমদের পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল ও কলেজ মিরাবাজারের প্রিন্সিপাল মুহাম্মদ মজির উদ্দিন ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক সিলেটের ডাকের চীফ রিপোর্টার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, বক্তব্য রাখেন পরিষদের প্রধান পৃষ্টপোষক চৌধুরী বখতিয়ার এহিয়া রেহেল, গোলাপগঞ্জ জামেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, এহিয়া আহমদ চৌধুরী স্মৃতি ষষ্ঠ শিক্ষক পদকপ্রাপ্ত গুনী শিক্ষক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন,পরিষদের উপদেষ্টা সৈয়দ নাসির উদ্দিন, রণকেলী লেক ভিউ প্রজেক্টের চেয়ারম্যান দিনার আহমদ চৌধুরী, ঢাকাদক্ষিন জামেয়া স্কুলের প্রিন্সিপাল আনেয়ার হোসেন কিবরিয়া, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষে মাওলানা আজমল হোসেন শুভন, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম, আহমদুল হক চৌধুরী, বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন, পরিষদের নির্বাহী সদস্য ও জামেয়ার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল কাদির।
অনুষ্ঠানে স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত চতুর্দশ জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার কারীকে একটি কম্পিউটার ও ক্রেষ্ট, ২য় স্থান অধিকার কারীকে ১টি ট্যাব ও ক্রেষ্ট, ৩য় স্থান অধিকার কারীকে নগদ ২হাজার ৫শত টাকা ও ক্রেষ্ট এবং মেধাতালিকায় স্থান লাভকারী বাকি ৭ জনকে নগদ অর্থ ও ক্রেষ্ট, স্কুল কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্ত ১৪ জনকে নগদ অর্থ ও ক্রেষ্ট, ৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ ও ক্রেষ্ট, শাবিতে অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থীকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নগদ ১২ হাজার টাকা, স্থানীয় ৮ জন শিক্ষার্থীকে জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা করে ৩২ হাজার টাকা, ১টি জুনিয়র স্কুলের উন্নয়নে ২০হাজার টাকা, ২টি মাদ্রাসার উন্নয়নে ১৭ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে মরহুম এহিয়া আহমদ চৌধুরীর মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন পরিষদের নির্বাহী সদস্য ও জামেয়ার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল কাদির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মছনুন চৌধুরী, উপদেষ্টা হাফিজ আহমদ চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাংবাদিক গোলাম দস্তগীর খাঁন ছামিন, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি হারিছ আলী, চৌধুরী ইউসুফ এহিয়া প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে