মারুফ সরকার, বিনোদন ডেস্কঃ জনপ্রিয় নাট্যভিনেতা ও নির্মাতা শামীম জামান। বর্তমানে তিনি একটি চাটাম ঘরের মাতব্বর। গ্রামের সহজ সরল মানুষের জীবনযাত্রার পথে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। বিবাদমান সমস্যা সমাধানে বিচারকের ভূমিকাও পালন করতে হচ্ছে তাকে। ঢেঁড়া পিটিয়ে গ্রামজুড়ে তার মাতব্বরী ঘোষণা করা না হলেও যেমন স্বঘোষিত মাতব্বর তিনি, তেমনি তিনি চাটাম আর চাঁপাবাজিতেও বেশ পটু। কথার ফুলঝুড়িতে তাকে হার মানানো দায়। তবে তা বাস্তবে নয়। মুহাম্মদ মামুন অর রশীদ রচিত ‘চাটাম ঘর’ নাটকে মুকিত নামে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে। যেখানে তার এই চরিত্রগুলো ফুটে উঠবে। এটি পরিচালনা করছেন শামীম জামান নিজেই। তিনি ছাড়াও এতে অভিনয় করছেন মোশাররফ করিম, আ.খ.ম. হাসান, জুঁই করিম, নাদিয়া, নাবিলা প্রমূখ।

জানা যায়, বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনে প্রচারের জন্য ‘চাটাম ঘর’ নাটকটি নির্মাণ করা হচ্ছে। রাজধানীর পূবাইলে তাদের নিজস্ব একটি শুটিং হাউসে দৃশ্য ধারণের কাজ চলছে। চলমান মাসজুড়ে (অক্টোবর) শুটিং চলবে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা ও নির্মাতা শামীম জামান। আগামী ১৬ নভেম্বর এটি টিভির পর্দায় দেখা যাবে।

এ নাটক নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে ঘরে বসে মানুষ গাল-গল্প করে, অলস সময় পার করে সেটাই হচ্ছে চাটাম ঘর। এখানে বসে মানুষ দুর্লভ সব গল্প করে, চাঁপাবাজী আর চাটাম করে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এরকম চাটাম ঘর আছে। তবে এই নাটকে আমরা যে চাটাম ঘরের ব্যবহার করেছি এরকম ঘর সচরাচর দেখা যায় না।’

নাটকে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই নাটকে আমি মুকিত চরিত্রে অভিনয় করছি। আমার চরিত্রটা ফুটে উঠবে অনেকটা গ্রাম্য মাতব্বরের মতো। তেমনি এই চাটাম ঘরের মাতব্বর/বিচারক আমি। কোন কিছু হলে বিচার সালিশের মাধ্যমে বিচার করি, মিমাংসা করি। এর বাইরে আমাকে চাটামও করতে দেখা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাঙালিরা গল্প প্রিয়, খাদ্য প্রিয়। এই গল্প প্রিয় মানুষগুলো একটু অলস প্রকৃতির হয়। শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষগুলো একটু বেশিই সহজ সরল আর অলস। নাটকে এমনি একটি গ্রামের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এই চাটাম ঘরে আসে। পারিবারিক অস্বচ্ছলতা থাকলেও চাটাম ঘরে তাদের একেক জনের গল্প আর চাঁপার জোর রাজা-বাদশাদেরও হার মানাবে। চাটাম ঘরে আড্ডার একটা কূফলও রয়েছে। এখানে আড্ডাবাঁজি করতে করতে একটা সময় মানুষ অলস হয়ে পড়ে। আমি এই নাটকের মাধ্যমে তার সমাধানও দেবো। বোঝানো হবে, সব সময় আসলে চাটামো ভালো না।’

গ্রামের চাটাম ঘর আর শহুরে ক্লাবের মধ্যে পার্থক্য আছে কী? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, গ্রাম আর শহরের মানুষের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। গ্রামের মানুষের জীবনযাপন কৃষি নির্ভর। তারা অনেক পরিশ্রম করে। দিনশেষে ক্লান্ত শরীরে চাটাম ঘরে যায় অলস সময় কাটাতে। অনূরুপ ভাবে শহরের মানুষ সারাদিন অফিস-আদালতের ব্যস্ততা শেষে ক্লাবে যায় আড্ডা দিতে। জীবনযাত্রা যেমন ভিন্ন তেমনি চাটাম ঘরের আড্ডা আর ক্লাব ঘরের আড্ডা ভিন্ন। বাকীটা দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে