শ্রী ঃ মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলা থানাধীন ডাকুয়া ইউনিয়ন প্রায় এ রাস্তা ১৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তা।

এ রাস্তা হয় না কোন নির্মাণ কাজ ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ জনগণ। ও শতাধিক পরিবারের চলাচলে ভোগান্তি চরমে পৌছেছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশত কর্মী, চাকুরিজীবি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ভোগন্তি নিয়েই চলাচল করছে।

এই পাকা রাস্তা নির্মাণ না থাকা কারনে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ। পানি ও কাদা মাড়িয়ে শিক্ষার্থী ও বয়স্করা চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

এটি মেরামতের জন্য সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় তার কাছে একাধিক আবেদন করেও কোন সাড়া পায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জানা যায়, এলাকার ডিএনডি শাখা ব্যুরোগৌরঙ্গ নদী পাশে থেকে অবস্থিত এই রাস্তা । এমনকি উলানিয়া বন্দর পর্যন্ত একটি রাস্তা রয়েছে। এ সড়কের দুই পাশে কমপক্ষে দেড়শতাধিক পরিবার বসবাস করছে।

তাদের চলাচলের একমাত্র একটি পাকা রাস্তা। হওয়ায় পড়েও চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। এ রাস্তা টি ভাঙ্গা, বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এছাড়াও সামান্য বৃষ্টি হলে ময়লা ও আবর্জনা রাস্তা ভেঙ্গে যায় ও যুক্ত পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এসব ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও বয়স্কদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও রাস্তা নির্মাণ না থাকায় সারা বছরই বাসা বাড়ির ময়লা পানি এ সব জমে থাকে। এসব পানি মাড়িয়ে চলাচল করায় অনেকের পায়ে ঘা হয়েছে বলেও জানায় একাধিক বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, এ রাস্তা টি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থা। এটি পাকা রাস্তা নির্মাণ করার জন্য আগের ডাকুয়া চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় তার কাছে একাধিক আবেদন করা হয়েছে। বর্তমান তার কাছে রাস্তা নির্মাণ করার কথা বললে জানায়, আমাকে এ এলাকার মানুষে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন । আমি এ রাস্তা নির্মাণ করার জন্য কথা বলে চেয়ারম্যান।

স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, সড়কটি পাকা করা খুব জরুরী দরকার । এ সড়ক পরিবহন দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে, এমনকি দিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেক কর্মী চলাচল করে থাকে। এ সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থী যাতায়াত করতে গিয়ে পড়ে স্কুল ড্রেসে কাদা লাগায় স্কুলে যেতে না পারার একাধিক নজির রয়েছে। সড়কে একাধিক গর্ত ও পানি জমে থাকায় সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না। তাছাড়া রাতের বেলায় আরও বেশি ভয়ঙ্কর অবস্থা থাকে। এ সড়কে চলতে গিয়ে অনেকে পড়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আবেদন করলে পাকা করণের সুপারিশ করে মেয়র মহোদয়ের বরাবর পাঠাব।

নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পর এ রাস্তা নির্মাণ করার জন্য এলাকাবাসী দ্রত দাবি জানিয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে