মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ রাতের আধাঁরে গাছ কেটে নিলেন খোদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। করোনা কোভিট-১৯ এর জন্য স্কুল, বন্ধ থাকার কারণে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতের আধাঁরে স্কুলের প্রায় আট থেকে দশটি গাছ কেটে নিলেন খোদ প্রধান শিক্ষক। তার মধ্যে ২ টি মেহগিনি, ৩ টি কাঁঠাল, ১টি পাউংআ জিগা, দেশি নিমগাছ ২টি।গাছগুলোর দাম প্রায় আরাই লক্ষাধিক টাকা। বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ কেটে নিয়েছেন নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়  একাধিক শিক্ষক অফিযোগ করে বলেন।  এক একটি গাছের বয়স প্রায় এক থেকে দের যুগের বেশি। যার মূল্য প্রায় আরাই লাখ টাকা। কিভাবে তিনি এই করোনা কালিন সময়ে এভাবে কাউকে কিছু না বলে ইচ্ছেমত গাছগগুলো কেটে ফেললেন ।
স্কুলের গাছ কেটে এভাবে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার অধিকার কারও নাই।

যেখানে স্কুল প্রায় ১৪ মাস থেকে বন্ধ সেখানে তিনি কি ভাবে রেজুলেশন না করে কমিটির সদস্যদের না বলে গাছ গুলো উত্তোলন করেছেন বলে প্রশ্ন করলে প্রধান শিক্ষক বলেন গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি স্কুলের ব্রেঞ্জ তৈরি করার জন্য গাছ গুলো তুলেছি। গাছ উঠার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন নিয়ম মেনে গাছ কাটতে গেলে ছয় বছেরও তা করা সম্ভব নয়। তাই রাতের আধাঁরে এভাবে তুলেছেন প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদ্য উত্তর দিতে পারেন নি।স্কুল কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি সুকুমার রায়কে গাছ কাঁটার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ সম্পর্কে কিছু জানিনা। সকাল বেলা প্রধান শিক্ষক বলেন তিনি গাছ গুলো তুলে নিবেন। রেজুলেশন বা অন্য কোন বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

এ ব্যাপারে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনিও বলেন ১৪ মাস থেকে স্কুল বন্ধ। আমি বা আমার স্কুলের কোন শিক্ষক বিদ্যালয়ে তেমন যাতায়াত নেই। তাই প্রধান শিক্ষক কেন গাছ কাটছেন সে ব্যাপারে আমি বা আমার শিক্ষকরা কিছুই জানেনা।
কিশোরগঞ্জ বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা মতলুবুর রহমান বলেন এ সব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে রেজুলেশন করে নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত ভাবে জানাবে। তখন তিনি আমাদের কে বললে আমারা এর ব্যবস্থা নিবো। কিশোরগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
কিশোরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রশিদুল ইসলাম রশিদ তার মুঠোফোনে কয়েকবার কলও তিনি রিসিভ করেন নি। তখন এমপি প্রতিনিধি রেজাউল আলম স্বপনের সাথে কথা হলে তিনি সভাপতিকে অবগত করার পরের দিন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি রশিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান বিষয়টি তিনি জানেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা আক্তার বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পাড়বো না, আপনাকে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বলে জানতে হবে। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে