ashura

ডেস্ক রিপোর্টঃ বুধবার যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজধানীতে পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে।
কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয়।
প্রায় এক হাজার ৩৩৪ বছর আগে এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (রা.) কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন।
আশুরা (১০ মহররম) উপলক্ষে কারবালার স্মরণে শিয়া সম্প্রদায়ের আয়োজনে রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। বুধবার সকালে হোসেনী দালান থেকে মিছিলটি বের করা হয়।
আশুরার দিন প্রধান তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সকাল থেকেই হোসেনি দালানের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সাড়ে ১০টার দিকে ইমামবাড়ার সামনে থেকে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম তুলে শুরু হয় তাজিয়া মিছিল।
মিছিলে অনেকের হাতে জরি লাগানো লাল-সবুজ নিশান, মাথায় শোকের কালো কাপড়, অনেকের শরীরে কালো পোশাক ছিল।
সকাল ১০টার দিকে হোসনী দালান থেকে তাজিয়া মিছিলটি শুরু হয়ে বকশিবাজার-উর্দ্দুরোড-লালবাগ চৌরাস্তা- ঘোড়া শহীদের মাজার-আজিমপুর-নিউমার্কেট-সায়েন্সল্যাব হয়ে ধানমন্ডির অস্থায়ী কারবালায় (ধানমন্ডি লেক) গিয়ে শেষ হয়।
১০ মহরম হযরত ইমাম হোসেইন (রা.) এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাঁদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।
কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সকলকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যোগায়।
এ ছাড়া ১০ মহররম আশুরার দিন মহান আল্লাহতায়ালা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আবার এদিন কেয়ামত ঘটাবেন। এর বাইরে এদিন হযরত ইব্রাহিম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুন্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন, হযরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান। এ রকম অসংখ্য ঘটনায় তাৎপর্যমন্ডিত এ দিনটি মুসলিম সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের সাথে পালন করে থাকে।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আজ ছিল সরকারি ছুটির দিন।
এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও-টিভি চ্যানেলও এই দিনের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে