ডেস্ক রিপোর্টঃ রংপুর কৃষি অঞ্চলের আওতায় পাঁচ জেলায় চলতি রবি মৌসুমে শীতকালীন সবজির বাম্পার উৎপাদন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সরকারি সূত্র একথা জানায়।
এ অঞ্চলের কৃষকরা চলতি মৌসুমে ৩৫ হাজার ৩৫১ হেক্টর জমি শীতকালীন সবজি চাষের আওতায় এনেছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ৭৯৯ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সাত লাখ ৪৮ হাজার টন।
ইতোমধ্যে আগাম জাতের সবজি তোলা শুরু হয়েছে এবং সবজির অধিক মূল্য কৃষকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে।
এই কর্মসূচির আওতায় এই অঞ্চলের রংপুর জেলার দশ হাজার তিনশ’ হেক্টর, গাইবান্ধার সাত হাজার ৩৯০ হেক্টর, কুড়িগ্রামে পাঁচ হাজার তিনশ’ হেক্টর, লালমনিরহাটে পাঁচ হাজার ৪৫০ হেক্টর ও নীলফামারী জেলার পাঁচ হাজার ৫১৬ হেক্টর জমি শীতকালীন সবজি চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) উদ্যান বিশেষজ্ঞ খন্দকার মো. মেসবাউল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি অধিক মুনাফার ফসল হওয়ায় এই দুই ধরনের সবজি চাষ কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ইসলাম বলেন, নতুন ফসলী পদ্ধতিতে আগাম জাতের সবজি চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাজারে চড়া মূল্যে শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে।
ডিএই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান কৃষকদের মাঝে সঠিক সময়ে উন্নতজাতের বীজ, অন্যান্য কৃষি উপকরণ ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে।
এছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকদের মাঝে শীতকালীন সবজি চাষ কর্মসূচি সফল করতে সহজ শর্তে ঋণ সরবরাহ করছে।
ডিএই সূত্র মতে, কৃষকরা বিভিন্ন এলাকায় শীতকালীন সবজি চাষ অব্যাহত রেখেছে, সেই সঙ্গে চড়া মূল্য পেতে আগাম জাতের সবজি তোলা হচ্ছে।
বাজার সূত্রে জানা যায়, এই অঞ্চলে উৎপাদিত আগামজাতের সবজি বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
ডিএই’র রংপুরের আঞ্চলিক অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চড়া দামসহ বাম্পার উৎপাদন পাওয়ায় কৃষকরা এই অঞ্চলের সর্বত্র বৃহৎ পরিসরে শীতকালীন সবজি চাষ করছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে