নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা করোনা সংক্রমিত এক কিশোরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুই ডাক্তার ও এক স্বাস্থ্য সহকারী আক্রান্ত হন করোনায়। ওই স্বাস্থ্য সহকারীর মাধ্যমে তার স্বামী একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের প্রহরী আক্রান্ত হন এবং ওই প্রহরীর মাধ্যমে ৭ জন কর্মকর্তার শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়ায় লকডাউন করা হয় ব্যাংকের শাখাটি।

করোনা পরিস্থিতিতে রংপুরে এখনো সাধারণ মানুষের মাঝে নেই কোনো সচেতনতা। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যে যার মতো রাস্তায় নামছেন। বাজারগুলোতেও অবাধে ভিড় করছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের। 

জেলায় এখন মোট আক্রান্ত ১৫ জন। তার মধ্যে ৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বৃহস্পতিবার। তারপরও হাট-বাজারে, রাস্তাঘাটে চলছে ঢিলেঢাল ভাব। ঘরে থাকাই করোনা প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলেও এই কথাটি মানছে না কেউ। লোকজনকে ঘরে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর স্বাস্থ্য বিভাগের চূড়ান্ত চেষ্টা, শত অনুনয়ে তারা বের হচ্ছে।

রংপুরে সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, প্রশানসকে এ ব্যাপারে আরো কঠোর হতে হবে।   

রংপুর মেন্ট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদ বলেন, এখানে আইনটা মানানোর চাইতে বরং নিজেকে নিরাপদ রাখতে আপনি আইনটা মানুন। নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য ঘরে থাকুন। 

করোনা প্রতিরোধে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার ফকরুল আনাম বলেন, কাঁচা সবজি ও ওষুধের দোকার ছাড়া সব কিছু বন্ধ করা উচিৎ। 

S/N

করোনা মোকোবেলায় এখনও বাকি অনেক উদ্যোগ। তবু কে শোনে কার কথা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে