NY-Protest-zuktrastro

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৩ই মে১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ’ দমনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের কয়েকটি সংগঠন।

বুধবার ওয়াশিংটনের ডিউপন সার্কেলে ‘জাগরণ সমাবেশ’ থেকে এই দাবি জানানো হয়। বিডি-নিউজের খবর।

যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার আন্দোলনের নেতা আহমার মুসতিখান বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, ভিন্নমত ও ভিন্নপরিচয়ের মানুষের উপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

“সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের অন্যতম টার্গেটে পরিণত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মীরাও। এ ধরণের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে গোটা মানবতাকে রুখে দাঁড়াতে হবে।”

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রতিনিধি তপন দত্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দিরের নিরাপত্তায় জোর দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বয়স যত বাড়ছে, ধর্মনিরপেক্ষতার নাম-নিশানা ততো বিলুপ্ত হচ্ছে; মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ততোই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।”

বক্তারা সংখ্যালঘুসহ ভিন্ন মত ও পরিচয়ের মানুষদের উপর জামায়াত-শিবিরসহ জঙ্গিগোষ্ঠীর চোরাগোপ্তা হামলা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য প্রত্যাশা করেন।

হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের পরিচালক জ্যা ক্যানসারা সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বলেন, “মানবতাবোধ রয়েছে এমন প্রতিটি মার্কিন নাগরিক বাংলাদেশিদের পাশে আছে, থাকবে।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর ইনক্যুয়ারির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকলাস লিটল, যিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় ইসলামি উগ্রপন্থিদের হামলায় নিহত বিজ্ঞানলেখক অভিজিৎ রায়ের বন্ধু।

অভিজিৎ হত্যায় জড়িতদের ধরতে না পারায় বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাও সমাবেশে সংহতি জানান; সম্প্রতি ঢাকায় একই কায়দায় হামলায় মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মী জুলহাজ মান্নানের খুনের ঘটনায় নিন্দা জানান।

বাংলাদেশ দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কাউন্সেলর তৌফিক হাসান জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা উল্লেখ করেন। জঙ্গিবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন সহায়তায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

রবীন্দ্র সংগীত ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। পরে মোমবাতি জ্বেলে ধর্মান্ধদের হামলায় নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখা, দ্য হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন, দ্য ওয়ার্ল্ড হিন্দু কাউন্সিল অব আমেরিকা এবং সেন্টার ফর ইনক্যুয়ারির সংগঠক ও নেতা-কর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে