sheikh-hasina

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মোহাম্মদ হানিফের জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে এ প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীগণ দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হবেন।
মোহাম্মদ হানিফের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ ও পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ আজীবন এদেশের মানুষের অন্তরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় প্রোথিত থাকবেন।
শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, ‘আমি আশা করি, মোহাম্মদ হানিফের জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে এ প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীগণ দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হবেন। দেশ ও জাতির কল্যাণে আরো নিবেদিত হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে অংশীদার হবে। ’
বাণীতে তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। বাঙালির মুক্তিসনদ-৬ দফা ঘোষণার সময় থেকে তিনি জাতির পিতার একান্ত সহকারী হিসেবে গভীর নিষ্ঠা ও অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনেও এই অকুতোভয় নেতা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন বলে বাণীতে তিনি বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। সেদিন মোহাম্মদ হানিফ মানবঢাল তৈরি করে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন।
মস্তিষ্কসহ হানিফ শরীরের বিভিন্ন অংশে গ্রেনেডের অসংখ্য স্পিøন্টারে মারাত্মকভাবে আহত হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও মস্তিষ্কের স্পিøন্টার নিয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে