জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ওয়াপদা মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচলে বাধা প্রদানসহ মোটর মালিক ও শ্রমিকদের অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ১১ টায় শহরের স্মৃতি অম্লান চত্বরে এর আয়োজন করে সৈয়দপুর উপজেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকলীগ (রেজি: নং বি-২০৪৪)।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়ের -১ শাহিন হোসেন, সহ-সভাপতি রশিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্যানেল মেয়ের-৩ সাবিয়া সুলতানা, ওয়ার্কাস পার্টির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম মাষ্টার, সংগঠনের সদস্য মোবারক হোসেন ও আবু হায়াত শাহ সাগর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে শহরের শেরে বাংলা সড়কের জাতীয় পার্টির অফিস সংলগ্ন স্থানে সিএনজি স্ট্যান্ড ছিল। সম্প্রতি পাশেই পোস্ট অফিস মোড়ে স্ট্যান্ড করে সৈয়দপুর-চিলাহাটি রুটে বাস সার্ভিস চালু করে নীলফামারী জেলা মোটর মালিক সমিতি। এতে শহরের ভেতরে স্ট্যান্ড করা এবং পাড়ামহল্লার সড়ক দিয়ে বাস চলাচল নিয়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। বন্ধের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখিসহ মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোখছেদুল মোমিন।

এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জনপ্রতিনিধিরাসহ মোটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে সৈয়দপুর শহরের ভেতরে কোন স্ট্যান্ড থাকবেনা। সে অনুযায়ী বাস স্ট্যান্ড ও সিএনজি অটোস্ট্যান্ড সরানো হয়। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বাস এবং ওয়াপদা মোড় থেকে সিএনজি স্ট্যান্ড করে চলাচল করবে।

কিন্তু পরবর্তীতে ওয়াপদা মোড়ে সিএনজি রেখে যাতায়াত শুরু করতে গেলে সেখানকার মোটর শ্রমিকরা বাধা দেয়। প্রতিবাদ করলে দলবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে সিএনজি ভাংচুর ও বেধড়ক মারপিট করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন এসে বিরোধ মিটিয়ে দেয়। তারপরও ওয়াপদা মোড়ে সিএনজি রাখা, যাত্রী উঠানো ও চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে চলেছে মোটর শ্রমিকেরা। এতে হয়রানী ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সিএনজি ও অটো চালকরা।

প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এরপরও যদি সুষ্ঠু বিচার না করা হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন নেতৃবৃন্দ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে