ডেস্ক রিপোর্টঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রবাসে থেকে যারা মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছেন তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্তির প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, আগামী ৭মার্চ থেকে বিদেশে আবস্থারত বাংলাদেশী সকল দূতাবাসে মুক্তিযোদ্ধা ফরম পাওয়া যাবে। বিদেশে বসেই প্রবাসীরা আবেদন করতে পারবেন।
তিনি সোমবার রাতে সিলেটে চারদিন ব্যাপি ‘লন্ডন ১৯৭১‘ নামের ছবি প্রদর্শনির সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বরেন।
মন্ত্রী বলেন, অনেকে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে অংশ নেননি, কিন্তু প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্নভাবে কাজ করেছেন। তারাও মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি বলেন, বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে, এদেশের জনগণের পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছায় তাদের সকলকে আমরা স্বীকৃতি ও সম্মাননা দিয়েছি। যারা এখনও বাকি আছেন তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, অস্ত্রের চেয়ে কলমের শক্তি অনেক বেশি। যারা গানের মাধ্যমে, লেখনির মাধ্যমে, খেলাধুলার মাধ্যমে, চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে স্বাধীনতার পক্ষে ভূমিকা রেখেছেন তারা সকলে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাবেন। এজন্য তিনি প্রবাসীদের নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করার আহ্বান জানান ।
মন্ত্রী বলেন, আমরা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য মুক্তিযোদ্ধা তালিকাও হালনাগাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ই এদেশের স্বাধীনতার চিন্তা করেন। এজন্য তিনি ধীরে ধীরে কাজ শুরু করেন। তাঁর সেই স্বপ্ন ১৯৭১ সালে ৯মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাস্তবে রূপান্তরিত হয়। যার ফলে আজ আমরা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশে^র বুকে পরিচিত।
মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ভারতের পর লন্ডন হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করা অন্যতম একটি তীর্থ স্থান। সেখানে আন্তর্জাতিক মহলকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আনতে সিলেটী প্রবাসীরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন। আজও তাদের পাঠানো রেমিটেন্স বাংলাদেশ সরকারকে সোজা দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
অপর এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সিলেটের রয়েছে ধর্মীয় সম্প্রতি এবং সাংস্কৃতিক ঐহিত্য। হাছন রাজা, রাধারমন, বাউল আব্দুল করিমসহ এ অঞ্চলের অসংখ্য গুণীজন সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতকে ঐতিহ্যমন্ডিত করেছেন। এখান থেকে দেশের সংস্কৃতিও সমৃদ্ধ হচ্ছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে