আসাদ হোসেন রিফাতঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাদক পাচারে বাধা দেয়ায় মাহবুবুল আলম(৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে মাদক কারবারিরা। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ করা হলে অভিযোগটি নিতে গড়িমসি করেন। পরে অভিযোগ নিলেও এখন অবদি তেমন কোন ব্যবস্থা নেননি পুলিশ।

আর তাই পুলিশের এমন ভূমিকার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন মুসল্লীরা। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে উপজেলার বড়খাতা দোলাপাড়া কেরামতিয়া বড় মসজিদের মুসল্লিরা ঘন্টা ব্যাপি উক্ত মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দোলাপাড়া কেরামতিয়া বড় মসজিদের ইমাম হাফেজ আবু সাঈদ, সওকত হোসেন, যুবলীগ নেতা জানে আলমসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, মাদক পাচারে বাধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ আসামিদের ধরাতো দুরের কথা, মামলা নিতেই গড়িমসি করেছেন। পুলিশ যদি মাদক কারবারির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আর তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাবো। তাই পুলিশ প্রসাশনের কাছে অনুরোধ এ ঘটনার আসামিদের দ্রুত গ্রপ্তার করুন। না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সফিক বলেন, মানববন্ধনের বিষয়ে জানা নেই। তবে এই মামলার একজন আসামী শাহাজান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি জানা নেই। এই মামলার ২নং আসামি শাহাজান আলীকে শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার তাকে সকালে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গগত গত ১০ আগষ্ট শনিবার রাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া কেরামতিয়া বড় মসজিদ এলাকায় একটি অটোবাইকে মাদক নিয়ে যাচ্ছিলো মাদক কারবারিরা। এ সময় আইয়ুব আলী, ছেলে মাহবুবুল আলম ও ভাতিজা জানে আলম অটোবাইকটি আটক করে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলকে খবর দেন। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আইয়ুব আলী অটো বাইক তল্লাশি করে কয়েক বস্তা ফেন্সিডিল পায়। এর এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চাইনিজ কুড়াল ও ছোড়া নিয়ে এসে আইয়ুব আলী, মাহবুবুল আলম ও জানে আলমের উপর হামলা চালায়৷ এ সময় তাদের একজন মাহবুবুল আলমের মাথায় কুড়াল দিয়ে কোপায়। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। তারপর অভিযুক্তরা ফেন্সিডিলের বস্তা গুলো নিয়ে পালিয়ে যায়৷ তবে একটি বস্তাতে থাকা ৩৫ টি বোতল রেখে যায়। পরে চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজন মাহবুবুল আলমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে আহত ওই ব্যক্তি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় গত শনিবার (১৩ আগষ্ট) মাহবুবুল আলমের বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার দোলাপাড়া এলাকার বিপুল হোসেন(২২), শাহাজান আলী(৫৩), রতন(২৫), ফরিদুল ইসলাম ফরিদ(৩০), নেহাল উদ্দিন(৫৫), নূরনবী(২৫), সাফিউল(২৬), সাজু মিয়া(২৪), আলমগীর(২২)।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে