ভারতে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে গতকাল বুধবার ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন রেকর্ড এক লাখ ২৬ হাজারের বেশি। মারা গেছেন প্রায় ৭০০। আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় সামনের দিনগুলোতে কয়েকটি রাজ্যে ভ্যাকসিনের তীব্র সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ব্রাজিলে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে বুধবার একদিনে মারা গেছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ। এত কিছুর পরও সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে লকডাউন জারির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে আবারও জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো।

রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবারো বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। ভারতে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। মুম্বাইয়ে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে দশ হাজারেরও বেশি মানুষ। মহারাষ্ট্রেও রেকর্ডসংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি। সংক্রমণ রোধে দিল্লি, পাঞ্জাব, কর্ণাটকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় মুম্বাই, মহারাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে ভ্যাকসিন সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মহারাষ্ট্রের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, আর মাত্র ১৪ লাখ ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। যদি আমরা প্রতিদিন পাঁচ লাখ মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেই তবে মাত্র তিন দিন চলবে। এ অবস্থায় আমাদের খুব শিগগিরই ভ্যাকসিন মজুত করতে না পারলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।

করোনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত এক মাসের তুলনায় এখনকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায় সংক্রমণ কত তীব্র আকার ধারণ করেছে।

এদিকে ব্রাজিলে করোনায় শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। একদিনে মারা গেছেন চার হাজারেরও বেশি। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এমনকি জায়গা সংকট দেখা দেয়ায় গণকবর খুঁড়তে হচ্ছে দেশটিতে। তারপরেও সংক্রমণ রোধে কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেই। এ অবস্থায়ও লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান, দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো।

যুক্তরাষ্ট্রেও অপরিবর্তিত রয়েছে কোভিড পরিস্থিতি। বুধবার একদিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় পঁচাত্তর হাজার আর মারা গেছেন সাড়ে আট শতাধিক। সংক্রমণ রোধে দেশটির বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

SO/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে