সাব্বির আলম বাবু, ভোলা প্রতিনিধিঃ যাত্রী সংকটের কারণে ভোলা-ঢাকার রুটের কয়েকটি লঞ্চ যাত্রা বতিল করেছে। তবে দু-চারটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও যাত্রী ছিল অন্য দিনের তুলনায় এক চতুর্থাংশ।

শনিবার দুপুরে ভোলার খেয়াঘাট ও ইলিশা লঞ্চঘাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। লঞ্চ মালিক পক্ষ বলছে, যাত্রী কম থাকায় কিছু কিছু লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। এ ছাড়া যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে কয়েকটি লঞ্চ ৫০-৬০ জন যাত্রী নিয়েও ছেড়ে গেছে।

ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে কোনো যাত্রী নেই। অথচ অন্য দিন এ ঘাট দিয়ে হাজারেরও অধিক যাত্রী ঢাকা-ভোলা যাতায়াত করেন। ঘাটে নোঙর করা এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লঞ্চটি সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাত্র ২৫-৩০ জন যাত্রী হওয়ায় তারা যাত্রা বাতিল করেছেন।

এ ছাড়াও ইলিশা থেকে দুপুর ১টার দিকে এমভি দোয়েল পাখি-১ লঞ্চটি প্রায় ৭-৮০জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। যাত্রী সংকটে গ্রীণ লাইন-২ লঞ্চটি দুপুর আড়াইটায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ঢাকা থেকে আসেনি। এরপর দুপুর ৩টার দিকে ৫০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে এমভি কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চটি।

অপর দিকে ভোলা খেয়াঘাট থেকে প্রতিদিন দুইটি করে লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও আজ সন্ধ্যায় একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার জন্য ঘাটে প্লেস করে। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৪৫ থেকে ৫০ জন যাত্রী লঞ্চে উঠেছে এবং একটি মাত্র কেবিন বুকিং হয়েছে। এ লঞ্চটিরও ঢাকায় যাওয়া নিশ্চিত না বলে জানান লঞ্চের স্টাফরা।

ব্রাদার্স নেভিগেশন কম্পানির ভোলা অফিসের ব্যবস্থাপক মো. আলাউদ্দিন জানান, প্রতিদিন ভোলার ইলিশা ও খেয়াঘাট থেকে তাদের তিনটি করে লঞ্চ ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু আজ সকাল থেকে যাত্রী কম থাকায় তাদের ইলিশা-ঢাকা রুটের এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চটি ছেড়ে যায়নি। আবার বিকেল ৩টার দিকে মাত্র ৫০ জন যাত্রী নিয়ে এমভি কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ছাড়াও সন্ধ্যায় ভোলার খেয়াঘাটে এমভি কর্ণফুলী-৯ লঞ্চটি নোঙর করে আছে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৪৫ থেকে ৫০ জন যাত্রী ও একটি মাত্র কেবিন বুকিং হয়েছে। এ অবস্থা হলে সেটিরও যাত্রা বাতিল করতে হবে।

বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলা বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, অন্য দিনের তুলনায় যাত্রী কম থাকায় ঢাকাগামী কয়েকটি লঞ্চ যাত্রা বাতিল করেছে। তবে এখনো খেয়াঘাটে একটি লঞ্চ ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে নোঙর করে আছে। তবে যত কম যাত্রী দেখা যাচ্ছে, তাতে সেটির যাত্রা বাতিল হতে পারে। এমনিতে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা বা অবরোধ নেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে