স্টাফ রিপোর্টারঃ  ভুয়া কবিরাজের হাতে ১৮ দিন ধরে ধর্ষনের স্বীকার এক বিবাহিত নারী। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৪ নং বাহাগিলি ইউনিয়নে।উপজেলার দঃ বাহাগিলি গ্রামের ওসমান আলীর মেয়ে রেখা খাতুনে সাথে। তার বিয়ে হয় পার্শবর্তী উপজেলা সৈয়দপুরের  খাতামধুপুর ইউনিয়নে। বিয়ের পর বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও মেয়েটি গর্ভে সন্তান আসেনি। 
তখন তিনি এক ভুয়া কবিরাজ কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুশা পাকার মাথা(চেয়ারম্যান পাড়া) গ্রামের মৃত তহির উদ্দিনের ছেলে মোর্সেদুল। কবিরাজের খবর পান। তখন তিনি মোর্সেদুলের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু মোর্সেদুল তাকে দেখে মনে মনে কু-কল্পনা দেখা দেয়। সে মেয়েটি কে বিভিন্ন ভাবে কু প্রস্তাব দিলেও মেয়ে তাতে সারা দেয় নি। কিন্তু ভুয়া কবিরাজ মোর্সেদুলও নাছরবান্ধা পিছেন ছাড়েনি, সে রেখাকে গত ২ জুলাই ফুসলিয়ে  তাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। রেখার বাবা চারি দিকে খোজাখোজি করে না পেয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় অফিযোগ দায়ের করেন। এ দিকে মোর্সেদুল বিবাহিত তার সংসারে দু’টি ছেলে সন্তান আছে বড় ছেলেটির বয়স ৭ বছর ও ছোট ছেলেটির বয়স ২ বছর।  অপর দিকে রেখা খাতুন খাতামধুপুর কাচারি পাড়া এলাকার নাজমুল নামে এক ছেলের সাথে ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। কিন্তু কোন সন্তান না হওয়ার কারণে সংসারে বিভিন্ন অশান্তি দেখা দেয়।
সেই সুযোগকে চলতি মাসের ২ তারিখে মোর্সেদুল মেয়ে টিকে নিয়ে রংপুর সরদার পাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে ১৮ দিন ধরে মেয়েটির সাথে অবৈধ ভাবে মেলামেশা করে। পরে মেয়েটির বাবা তাদের সন্ধান পেলে তার কাছে গেলে মোর্সদুল বলে ২০ হাজার টাকা দাও মেয়ে কে নিয়ে যাও। মেয়েটির বাবা টাকা মেনেজ করে তাকে দিয়ে রেখাকে নিয়ে আসে। 
তার পড়েও মোর্সেদুল তার পিছন ছাড়েনি। গত ২৩ জুলাই আবারো  রেখার বাড়ীতে খেলে এলাকাবাসী তাকে ধরে পুলিশের হাতে সোর্পদ করে। 
কিশোরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু দমন আইন ২০০৩ এর (৭/৯/১) ধারায় মামলা রুজু করে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করে।এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল আউয়াল বলেন তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং- ১৬। তারিখঃ ২৪/০৭/২১ ইং

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে