ডেস্ক রিপোর্টঃ  ‘অপরাজেয় বাংলা’র ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শনিবার রাত পৌনে বারোটায় বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ মৃত্যুবরণ করেন বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আব্দুল্লাহ খালিদ সিলেট জেলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে তৎকালীন কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্টস (বর্তমান চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে চিত্রাঙ্কন বিষয়ে স্নাতক এবং পরে ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্রাঙ্কন ও ভাস্কর্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে আব্দুল্লাহ খালিদ তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭২ সালে সেখানকার প্রভাষক থাকাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর উদ্যোগে কলাভবনের সামনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ‘অপরাজেয় বাংলা’র নির্মাণের দায়িত্ব পান। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তিনি ১৯৭৩ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ১৯৭৯ সালে ১৬ ডিসেম্বর নির্মাণ শেষ করেন।
ফার্স্ট এইড বাক্স কাঁধে একজন সেবিকা, সময়ের প্রয়োজনে রাইফেল কাঁধে তুলে নেয়া গ্রীবা উঁচু করে ঋজু ভঙ্গিমায় গ্রামের টগবগে তরুণ এবং দু’হাতে রাইফেল ধরা আরেক শহুরে মুক্তিযোদ্ধা- এই হলো অপরাজেয় বাংলা।
বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রের সামনে স্থাপন করা ম্যুরাল ‘আবহমান বাংলা’ এবং ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান দপ্তরের সামনে টেরাকোটার ভাস্কর্যও নির্মাণ করেন তিনি। এছাড়া তার কাজের মধ্যে রয়েছে ‘অঙ্কুর’, ‘অঙ্গীকার’, ‘ডলফিন’, ‘মা ও শিশু’ ইত্যাদি।
শিল্পকলা ও ভাস্কর্যে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আব্দুল্লাহ খালিদ ২০১৪ সালে শিল্পকলা পদক এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে