জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ অন্যায়ভাবে টাকা দাবী করে না পেয়ে দোকান ভাঙ্চুর, দখল, মারপিট এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়াসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী। জোরপূর্বক তালা দিয়ে দোকান বন্ধ করে রাখায় উপার্জনের একমাত্র উৎস্য হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে পুরো পরিবার।

আপন ভাই বোন ও দুলাভাই মিলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে এমন অমানবিক ও বেআইনী কর্মকাণ্ড করায় ৯ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে চরম আতঙ্ক ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে অসহায় এক ভাই। সৈয়দপুর শহরের পুরাতন বাবুপাড়া রেলওয়ে অফিসার্স কলোনীর মৃত হালিমের ছেলে মুরাদ হোসেন গত ২০ নভেম্বর নীলফামারী বিজ্ঞ আমলী আদালতে এই অভিযোগ করেছেন। পিটিশন নং ২১২।

তিনি শনিবার (১৯ নভেম্বর) সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেটের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এব্যাপারে সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মামলার আরজিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, আসামী ছোট ভাই মো. লিটন (৩০) ও তার সহযোগী সায়েম (৩৮), বোন জামাই সাহেব (৩০), এরশাদ (৩৫), ইমরান (৩৫) ও জাবেদ (৪৭) তাদের সহযোগী টিপু (৩০) এবং ৪ বোন মোছা. ইতি (২৫), মোছা. শিরিন আকতার (২৭), মোছা. দিতি (৩৫), মোছা. সোনিয়া (২৮) দীর্ঘ দিন যাবত তাঁকে বাড়ি ও দোকান থেকে বিতাড়িত করার পায়তারা করে আসছে। বার বার ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানোসহ ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজছিল।

এমতাবস্থায় গত ১৩ নভেম্বর দুপুর ২ টায় বাদী মুরাদ শহরের শেরেবাংলা সড়কের তামান্না সিনেমা হলের সামনে তার ওয়েল্ডিং দোকানে কর্মরত থাকাবস্থায় আসামীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০-৪০ জন অপরিচিত গুন্ডাবাহিনীসহ লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভাঙ্চুরে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। বাধা দিলে এলোপাথাড়ি মারপিটে আহত করে।

এসময় আর্তচিৎকারে লোকজন আসলে হামলাকারীরা মূল্যবান যন্ত্রপাতি চুরি করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় জোরপূর্বক দোকান থেকে টেনে হিচড়ে বের করে দিয়ে সাটার লাগিয়ে তালা দেয় এবং বলে এখানে ব্যবসা করতে হলে ২ লাখ টাকা দিতে হবে। না দিলে দোকান চালাতে দেয়া হবেনা। বাড়িতেও হামলা করা হবে। প্রয়োজনে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে।
তারপর থেকে দোকানটি বন্ধও রয়েছে। এব্যাপারে বাদী সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।

মুরাদ হোসেন বলেন, ইতোপূর্বেও তারা এমন জবরদস্তি করেছিল। তখন আইনী ব্যবস্থা হিসেবে সৈয়দপুর থানায় অভিযোগ দিলেও তারা কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আজ এই দূরাবস্থার শিকার হয়েছি। এমতাবস্থায় বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান তিনি। নয়তো সপরিবারে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানো বা আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।

এব্যাপারে অভিযুক্ত বোন ও তাদের স্বামীরা অভিযোগ অস্বীকার করেন। বরং বাড়ি ও দোকান মায়ের নামে হওয়ায় তাতে নিজেদের অংশ আছে বলে দাবি করেন। সেজন্যই মা নিজেই দোকানে তালা লাগিয়েছেন বলে জানান ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে