……………………..মোঃ  আবদুল মান্নান

 

মহেশ চন্দ্র রায়, বাবা- বাবুরাম রায়, মাতা- বিমলা রাণী রায়। ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১ তারিখ, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের ৫/৬ বছর পর তার বাবা শিশু মহেশকে স্থানীয় গ্রাম্য পাঠশালায় ভর্তি করান। ৩ বছর এ পাঠশালার পড়াশোনা শেষ করে তিনি কিশোরগঞ্জ বহুমুখী মডেল হাইস্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু নিয়তির খেয়ালে ১১/১২ বছর বয়সেই তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের সমাপ্তি ঘটে। যার প্রধান কারণ ছিল জন্মের ৫/৬ বছর পরেই তাঁর মায়ের মৃত্যু। এমনি এক অবস্থায় মহেশ চন্দ্র যোগ দেন স্থানীয় গ্রাম্য যাত্রা ও কীর্তন দলে। এ দলে যোগদানের অল্প সময়ের মধ্যেই জন প্রিয় হয়ে উঠেন তিনি।

কিন্তু তাঁর বাবা,মা হারা এ ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তৎকালীন নীলফামারী মহকুমার প্রবীন উকিল, বাবু সুরথ কুমার ঘোষের তত্ত্বাবধানে তাঁকে রেখে আসেন। গ্রাম ছেড়ে শহর জীবনে এসে ঘটনাচক্রে তাঁর পরিচয় ঘটে ভারত বর্ষ ‘অবতর’ পত্রিকার লেখক, অধ্যাপক তারাপ্রসন্ন মুখোপধ্যায়ের সাথে এবং লেখক, বলাইদেব শর্মার সাথে। তাঁদের কথামতই তিনি তখন থেকেই প্রাচীন পুঁথি  সংগ্রহ করতে শুরু করেন এবং কণ্ঠে ধারণ করতে থাকেন এগুলো পুঁথির আলোকে অনেক গান। এ ভাবে থাকতে থাকতে, উকিল সুরথ কুমার একদিন মৃত্যুবরণ করলে মহেশ চন্দ্র রায়কে শহর ছেড়ে গ্রামে আসতে হয়।

গান গাওয়ার সুবাদে তিনি নীলফামারীর জয়চন্ডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ পান। সেখানে ২ বছর শিক্ষকতা শেষে নীলফামারীর সংগলসী ইউনিয়নের দীঘলডাঙ্গী গ্রামের গগণচন্দ্র রায়ের কন্যা, বীণাপানি রায়ের সাথে পরিনয় সূত্রে আবদ্ধ হন এবং স্থায়ীভাবে শ্বশুরবাড়ীতেই বসবাস শুরু করেন। ১৩৪৯ সালে স্ত্রী বীণাপানির মৃত্যু হলে তিনি দুটি নাবালক সন্তান নিয়ে বড়ই বিপদে দিনাতিপাত করতে থাকেন এবং ১৩৫০ সালে তিনি কামিনী বালাকে বিয়ে করে পুণরায় সংসার জীবন শুরু করেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, শিল্পী মহেশ চন্দ্রের দ্বিতীয় স্ত্রী ও ৪ সন্তান রেখে মারা যান।

এরপর মহেশ চন্দ্র রায়, মাতৃহীন সন্তানদের লালন-পালন এবং তাদের বড় করে তোলার পর শেষ বয়সে সরলা বালা নামে এক বিধবাকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করেছিলেন। এতসব ঘটনার মাঝেও মহেশ চন্দ্র রায় উত্তর বঙ্গের বহুল প্রচলিত ভাওয়াইয়া গান লিখতে ও গাইতে থাকেন। নীলফামারী জেলায় অসংখ্য লোকসঙ্গীত শিল্পী রয়েছে। কিন্তু মহেশ চন্দ্র রায়ের লেখা ভাওয়াইয়া গানে তিনি তাঁর নিজস্ব সুর দিয়ে এমনি ভাবে সাঁজিয়েছেন যা কোন অবস্থাতেই কোন শিল্পী আজ অবদি সুরের কোন ধারা পরিবর্তন করতে পারেনি এবং করলেও বিকৃত সুর বলে স্রোতা সাধারণ তা অগ্রাহ্য করেছে। আর সে কারণে মহেশ চন্দ্র রায় অনেকের মাঝে নিজেকে খ্যাতিমান হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

এ গুণী শিল্পীর লেখা ভাওয়াইয়া গানের বিশাল ভান্ডার যা‘তে ভাওয়াইয়ার সমৃদ্ধ বিরাজমানতা তার নানাদিক উন্মোচনের আন্তরিক প্রয়াসের সাথে নিজেকে যুক্ত করে নিজের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে বিশ্লেষণ এবং লোকজ উপাদানও, উদাহরণগুলো উপস্থাপিত করার চেষ্টা করছি। চেনা জানা যেসব লোক জীবন নিয়ে মহেশ চন্দ্র রায় তাঁর গানগুলো রচনা করেছেন সেগুলোর অঞ্চলিক ভাষা এবং কথ্যভাষা গুলোর ব্যাখ্যার মাধ্যমে গুণী এ শিল্পীর মনের কথাগুলোকে সহজ-সরল ভাষায় সকল ভাওয়াইয়া প্রেমী মানুষের জন্য তুলে ধরছি। যুগ চেতনা যেমন তেমনি মানবিক বেদনাও।

সত্য সুন্দরের প্রকাশ অপ্রিয় হলেও তা প্রকাশ করতে হয়। যুগে যুগে কিছু মানুষ আসে, যাদের সৃষ্টিকর্ম প্রকাশের কোন ব্যবস্থা থাকে না, তা-যত সুন্দরই হোক কিংবা যতই আকর্ষনীয় হোক, প্রকাশ তা- কখনই পায় না। মহেশ চন্দ্র রায় কর্তৃক লেখা, সুর করা এবং তা প্রচার মাধ্যম- বেতারে প্রচার হলেও এক সময় তা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। এরূপ কিছু হারিয়ে যাওয়া ভাওয়াইয়া গান যা, মহেশ চন্দ্র রায় লিখেছেন, সুর করেছেন এবং গেয়েছেন, এ গানগুলোতে তিনি গ্রাম বাংলার মানুষের চিরায়ত প্রেম, ভালবাসা সুখ-দুঃখ ও বেদনা, আশা-আকাংখাসহ ধর্মকর্মের কথা অন্তরের অন্তরস্থল থেকে অত্যন্ত আবেগ ও দরদ দিয়ে গেয়েছেন যা- হয়ত আর কেউ এককভাবে করতে পেরেছেন কিনা তা-আমার কাছে এখন পর্যন্ত অজানা।

মহেশ চন্দ্র রায় লিখেছিলেন গ্রাম-বাংলার অল্প বয়সী অবলা নারীর বিবাহরে পর গরুর গাড়ীতে চরে শ্বশুর বাড়ীতে যাওয়ার সময় বাবার বাড়ীটি আর একবার দেখার আকুতি, ছোট ভাই-বোনের কথা, মায়ের কান্দোনের কথা বুঝাতে গাড়ীয়ালকে আকুতি-মিনতি করে গাড়ী ধীরে চালানোর কথা বলেছেন এ গানে। আস্তে বোলাও গাড়ীরে গাড়ীয়াল ধীরে বোলাও গাড়ী ……………. আর এক নজর দেখিয়া নেও মুই দয়াল বাপের বাড়ীরে গাড়ীয়াল  ধীরে বোলাও গাড়ী। বাপ কান্দে ঐ দেখা যায় আশ পড়শী নিকাশ ফেলায়  বাচ্চা বইনোক কোলাত নিয়া হায়রে  মাও কান্দে ডুকুরীরে গাড়ীয়াল আস্তে বোলাও গাড়ী……………….।

ভাওয়াইয়া গানের যে পাঁচটি শ্রেণীর কথা বলা আছে, মহশে চন্দ্র রায় তার রচিত গান সমুহে, দীঘল নাসা সুরই ব্যবহার করেছেন বেশি।ভাওয়াইয়া বিবরিত গ্রমীণ জীবনচিত্র এবং অনবদ্ধ লোকজ উপাদান প্রকৃতি আপন বৈশিষ্ঠে দৃষ্টিগ্রাহ্য। এখানে শরীরের বহুভঙ্গিম বিবরন আকর্ষনীয় ও যথাযথ। এমনি ধারায়  আর একটি গান উল্লেখ করা হলো তিস্তা নদীরে, এইকিরে তোর খেলা ভাসেয়া দিনু সাঁধের ডিংগা মোক থুইয়া একেলারে-মোক থুইয়া একেলা ভাঙ্গা গড়া খেলারে তোর নাইকো খেলার শ্যাষ এক নিমিষে ভাংগিয়া নিলু হামার সোনার দ্যাশ।মহেশ চন্দ্র রায় এখানে নদী ভাঙ্গা, বাস্তভিটা হারা অসহায় মানুষের আক্ষেপের কথা তুলে ধরেছেন। ভাওয়াইয়া গান নানা শ্রেণীতে বিভাজিত।

ভাওয়াইয়া গবেষক, হরিশ্চন্দ্র পাল, ভাওয়াইয়ার সুর ও ভাবগত বৈশিষ্ট বিচার করে পাঁচটি শ্রেণীতে বিভক্তের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো হচ্ছে- চিতান, ক্ষীরল, দরিয়া, দীঘলনাসা, গড়ান এবং মইষালী ভাওয়াইয়া। চিতান গানে বিচ্ছেদ ব্যাথায় ভাঙ্গা গড়ার অবস্থা হয়। গড়ান ভাওয়াইতেও প্রেমিক বিরহে কাতর প্রেমিকার ধুলায় গড়াগড়ি যাওয়ার অবস্থা ফুঁটে উঠে। ক্ষীরল ভাওয়াইয়া টানা সুর ও  চটকা গানের চটুল সুরের মাঝামাঝি। দরিয়া আঙ্গিকের গানের সুরের দীর্ঘ বিন্যাসের চেয়ে বিলম্বিত লয় অধিক প্রাধান্য পায় দরিয়া শ্রেণীতে। এ সুর বিন্যাসে ভাঙ্গন আনা হয় বিভিন্ন পর্যায়ে। দীর্ঘ প্রসারিত দম সাপেক্ষ সুরের যে ভাওয়াইয়া, তাহাই দীঘলনাসা। সাধারণত মইষালী গান গাওয়ার সময় গায়ক যেন কোন কিছুর উপর সওয়ার হয়ে চলছে এবং তার চলার ছন্দেই প্রকাশ পায় এ গান গাওয়ার ভঙ্গিতে।

বুদ্ধদেব রাও এর পাঁচটি শ্রেণী- চিতান, ক্ষীরল, দীঘলনাসা, করুন ও মইষালী ভাওয়াইয়া। সিরাজ উদ্দীনের বিভাজন চটকা-ক্ষীরল, কাটা ক্ষীরল, দীঘলনাসী ও দরিয়া। ভাওয়াইয়া গানের নায়ক চরিত্র কেন্দ্রিক ভাগ- গাড়ীয়াল বন্ধুর গান, মাহত বন্ধুর গান, মইষাল বন্ধুর গান, চেংড়া বন্ধুর গান ও বানিয়া বন্ধুর গান। এ ছাড়াও কাহিনী মূলক আরো শ্রেণী আছে- যেমন, বারমাসী গান, অধ্যাত্মিক গান, কার্তিক পুঁজার গান, সোনারায়ের গান, মদন কামের গান, বিষহরির গান, বিয়ের গীত ও ষাইটালের গান। ভাওয়াইয়া গানে, নারীর সাথে পুরুষের জীবনধারা ও ভাবনা গভীরভাবে রুপায়িত হয়। এ সব ধারণ করেই ভাওয়াইয়া সমৃদ্ধির সুবাতাস ছড়িয়ে চলেছে আমাদের সমাজে।

ভাওয়াইয়া গানে উপমা, তুলনা, অঞ্চলিক ভাষা, শিক্ষামূলক এবং মোহময় সুর অনবদ্ধ করে তুলেছে এ গানকে। আর এ কারনেই ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাছ উদ্দীন আহমেদের সুর লালিত্য এক সময়ের গ্রামীণ সৃষ্টি ভাওয়াইয়া গান আল পথ থেকে রাজপথে এবং অবশেষে বিশ্বের সংস্কৃতিতে স্থান করে নিয়েছে। ভাওয়াইয়ার লোক চরিত্র, লোকবিন্যাস, নিঃশোষিত হয়নি, আর তা হবেও না যতই যুগ পরিবর্তনের হাওয়ায় পরিবর্তন আসুক। বর্তমানে ভাওয়াইয়া সম্পর্কীত বই, পত্রিকা, সিডি-রেকর্ড ভাওয়াইয়াকে স্থায়ীত্ব দিতে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। বহু গীতিকার, শিল্পী ভাওয়াইয়ার বিকাশ ও স্থায়ীত্ব প্রদানে নিরলস কাজ করে চলেছেন।

বেতারসহ টেলিভিশন কেন্দ্র থেকে এবং বিভিন্ন স্থানে ভাওয়াইয়া উৎসব, ভাওয়াইয়া গানের প্রতিযোগিতা ও ভাওয়াইয়া গানের আসর প্রচার, সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে সেমিনার ও অন্যান্য আয়োজন ভাওয়াইয়া গানের ব্যাপকতায় জোয়ার বয়ে আনছে। এমন ধারা অব্যাহত থাকলে ভাওয়াইয়া গান জননন্দিত হয়ে আরও ব্যাপক প্রসার লাভ করবে।  ভাওয়াইয়া শিল্পী মহেশ চন্দ্র রায়েরও অসংখ্য গান রয়েছে। এ গুলোর সঠিক সংরক্ষণের অভাবে শিল্পির অনেক গান এখনও সংগ্রহ সম্ভব হয় নি, তবে সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।  ভাওয়াইয়া গানের এ গুণী  শিল্পী মহেশ চন্দ্র রায়, রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে প্রথমেই গীতিকার,সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখানে কয়েক বছর কাজ করার পর রংপুর বেতার কেন্দ্র চালু হলে তিনি সেখানে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে যোগ দেন।

এরপর মহেশচন্দ্র রায় তাঁর দীর্ঘ জীবনে যে গানগুলো সৃষ্টি করে হৃদয়ে ধারন করেন, সেগুলোর যথাযথ সংরক্ষণের চেষ্টাও তিনি চালিয়েছিলেন নিরন্তর ভাবে। তবে সব গান সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় নি। তাঁর লেখা লোকগানগুলো পরবর্তিতে ভাওয়াইয়া গানের শিল্পী বৃন্দের মধ্যে শরীফা রাণী, নাদিরা বেগম, রথীন্দ্রনাথ রায়, মুস্তফাজামান আব্বাসীসহ আরাও অনেকের কন্ঠে প্রচারিত হচ্ছে এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলার আর এক খ্যাতিমান শিল্পী রথীন্দ্রনাথ পোদ্দারও তার লেখা গান গেয়েছেন। বর্তমানে রথীন্দ্রনাথ পোদ্দার ভারতে বাস করছেন।  শিল্পী মহেশ চন্দ্র রায়ের গান এখন বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশ ও সংকলন করছে এবং তাঁর জীবনী ও গান সংরক্ষণ করা হচ্ছে বাংলাদেশ বেতারের আর্কাইডে। মহেশ চন্দ্র রায়ের লিখিত গানের সংখ্যা এক হাজারের বেশী। কিন্তু যাঁরা তাঁর গান নিয়ে গবেষণা করেছেন, তাদের কাছে সংগৃহীত গানের সংখ্যা দুইশত এর কাছাকাছি বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।

মহেশ চন্দ্র রায়কে নিয়ে বেশকিছু বইও প্রকাশ করা হয়েছে। “ধীরে বোলাও গাড়ী” নামে একটি গানের বই, নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে প্রকাশ করা হয়। ২০০৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে “মহেশ চন্দ্র রায়ের গান” নামে আর একটি বই প্রকাশ হয়। ২০১০ সালে শিল্পকলা একাডেমি মহেশ চন্দ্র রায়ের “জীবনী ও গান” নামে আরও একটি বই প্রকাশ করেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিষয়ের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে মহেশ চন্দ্র রায়ের গান ও জীবনী যা-বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। ভাওয়াইয়া গানের এ মহান শিল্পী ১৯৯৩ সালের ২৯ জানুয়ারী ৭৫ বছর বয়সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শিল্পীর শৈশবকাল কাটলেও শিল্পীকে ঘিরে কোন সংগঠন কিংবা তাঁর স্মৃতিরক্ষায় কোন প্রতিষ্ঠান এখানে গড়ে উঠেনি। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই চেষ্টা করছে তার স্মৃতি রক্ষার জন্য। সরকারী সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে হয়ত ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

 

 

 

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিষ্ট

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে