child

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে ১৫ বছরের কম বয়সী একটি কন্যাশিশুর বিয়ে হয়। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে শিশু অধিকার-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। বিশ্বের নানাপ্রান্তে একশ কোটির অধিক কন্যাশিশু নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। অধিকার বঞ্চিত এই সকল শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে ২০১১ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হয়। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ বছর বয়সী কন্যাশিশুদের তাদের চেয়ে অনেক বেশি বয়সী পুরুষদের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ভারত, সোমালিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বিয়ের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ভারতে সবচেয়ে বেশি।

বাল্যবিয়ের ফলে শুধু যে কন্যাশিশুরা শিক্ষা, উন্নয়ন ও শিশু হিসেবে বড় হওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তা নয় ; বরং মেয়েদের জীবন নানা রকম সমস্যার আবর্তে প্রবেশ করে। এই সকল সমস্যায় তাদের সারা জীবন ভুগতে হয়। প্রতিবেদনে কন্যাশিশুদের বিয়ের জন্য সংঘাত, দারিদ্র্য ও মানবিক বিপর্যয়কে দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবেদনটির উদ্দেশ্যে সেভ দ্য চিলড্রেনের মুখ্য নির্বাহী হেলি থর্নিং-স্মিডটস বলেন, যে মেয়েদের শিশু বয়সে বিয়ে হয়, তারা স্কুলে যেতে পারে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা পারিবারিক সহিংসতা, যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হয়। তারা কম বয়সে গর্ভধারণ করে এবং যৌন সংক্রান্ত সংক্রমণ এমনকি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, মানবিক বিপর্যয়ের সময়ও মেয়েরাই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়। সিয়েরা লিওনে ইবোলা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার সময় দেশটিতে স্কুলপড়ুয়া প্রায় ১৪ হাজার কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা ছিল। ওই সময় স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণার অন্যতম কারণ ছিল এসব কিশোরী।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশে ১৮ শতাংশ মেয়ের ১৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে হয়। ১৮ বছর বয়সের মধ্যে ৫২ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়। ইউনিসেফের মতে, বর্তমানে বিশ্বে ৭০ কোটি মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার। ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে ৯৫ কোটিতে পৌঁছতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে