বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয় এমন বিদেশি চ্যানেল সংখ্যা ২৪টি। এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।তিনি বলেন, বিদেশি চ্যানেলগুলোকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে সম্প্রচার করতে হবে।  
আমরা শুধু ক্লিনফিড যে সমস্ত চ্যানেল দিচ্ছে না তাদের বিষয়ে কথা বলেছি। সবার স্বার্থের বিপক্ষে গিয়ে কেউ অবস্থান করলে সেটা কখনো কাম্য নয়।

সোমবার (০৪ অক্টোবর)  দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সম্মেলন কক্ষে টেলিভিশন ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশন(অ্যাটকো) প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  এ সময় তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন এপিএ, অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী,  সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু ও সদস্য ইকবাল সোবাহান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।  

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত। বাংলাদেশি কোনো চ্যানেল সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করা ও বন্ধ করতেও বলা হয়নি। আমরা শুধু বলেছিলাম বাংলাদেশের আইনানুযায়ী যে আইন পৃথিবীর সব দেশেই রয়েছে এবং আশেপাশের দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশে বলবদ রযেছে। নেপালের মতো দেশেও সে আইন বলবদ হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিদেশি চ্যানেলগুলোকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে সম্প্রচার করতে হবে। অনেক দেশেই হয়, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রাচ্যের অনেক দেশও হয়। সুতরাং আমাদের দেশে সে আইন মানা হচ্ছিল না।  

তিনি বলেন, আইনকে বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করা হচ্ছিলো। এই আইনের দুই বছর আগে থেকেই তাগাদা দেওয়া হচ্ছিলো। সকল পক্ষের সঙ্গে দফায দফায় বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।  
০১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর করবো। কিন্তু এটি নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপপ্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি আশা করবো তারা এই বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকবে। সরকার আইন বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির, শিল্পীসহ সবার স্বার্থে আমরা এ আইন কার্যকর করেছি। সুতরাং সবার স্বার্থের বিপক্ষে গিয়ে কেউ অবস্থান করলে সেটা কখনো কাম্য নয়।  

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা শুধু ক্লিনফিড যে সমস্ত চ্যানেল দিচ্ছে না তাদের বিষয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয় এমন চ্যানেল সংখ্যা আগের দিন ১৭ টি বলেছিলাম সেখানে হবে ২৪টি  চ্যানেল। এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। আকাশ,  টিটিএস চালাচ্ছে,সুতরাং অন্যদের ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নেই। এক্ষেত্রে যদি আপনাদের কোনো পত্রের প্রয়োজন হয় সেটা দিয়ে দেব। আপনাদের কাছে পত্র দিয়ে দেব। ক্যাবল অপারেটরদেরও এ পত্র দেব। যদি এরপরও কেউ এটি না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ হবে। তাই শর্ত ভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না।  

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। বর্তমানে ৩২টি চ্যানেল রয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসনার কারণেই এতোগুলো চ্যানেল বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করেছে। এসব চ্যানেলে বহু মেধাবী তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে। কাজের দুয়ার অবারিত হয়েছে। আমাদের চ্যানেলগুলোও ভালো অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে পারে এবং অনেকেই করেন।  

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে