img_0398

এম এম মুজাহিদ উদ্দীন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ স্মৃতিময় রঙ্গিন ক্যাম্পাস জীবন।সেই প্রায় ৫বছর আগে নিজেদের অজান্তেই একে অপরকে হারিয়ে ফেলেছিল জয়নাল, সুমাইয়া, সাইফুল, ফারিয়া, নিশুরা। বন্ধুদের সঙ্গে নানা রকম আড্ডা, খুনসুটি, রেষারেষি, অভিমান, আনন্দ-বেদনা,সুখ-দুঃখ সবই ছিল ওদের মধুর। বাস্তবতার কঠিন নিয়ম যেন সবাইকে নিষ্ঠুরভাবে দূরে ঠেলে দেয় একসময়।চলে যেতে হয় অনেক অনেক দূরে।সঙ্গে থাকে শুধুই স্মৃতি। এরপর দেখা হয় হয়ত বা ডিম্বাকার এ পৃথিবীর কোনো এক কাণাগলিতে। হয়ত বা আর কোনো দিনই দেখা মেলেনা প্রিয় বন্ধুটির।কতটা নিষ্ঠুর এ বাস্তবতা। তবে এটাই যে প্রকৃতির নিয়ম।

অবশেষে সেই নিষ্ঠুর দিনটি চলে এল ২৪অক্টোবর সোমবার। দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মাধ্যমে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজি বিভাগের ৭ম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান কলেজের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহাদত হোসাইন রানা, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ নূরে আলম সিদ্দিক, সঞ্জিব কুমার পোদ্দার, জোহরা খাতুন পুষ্পসহ আরো অনেকে।সভাপতিত্ত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান মুন্সি মুহাম্মাদ নূরে আলম। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ আওলাদ হোসাইন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিপন মিত্র ও মেহজাবিন সন্ধ্যা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শাহাদত হোসাইন রানা বলেন-তোমারা পড়ালেখার পাশাপাশি স্বাংস্কৃতিকমনা হবে,আর পরিশেষে একেকজন সুন্দর মানুষ হবে সেই প্রত্যাশা করছি। অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্যারদের মাঝে কিছু গিফট তুলে দেয়া হয়। আর কলেজের জন্য ওয়ালমেট গিফট করা হয়।

শুধু কি আলোচনা আর উপহার দেয়ার মাধ্যমে শেষ হবে সাগর, সানিয়াতের বিদায় অনুষ্ঠান! এত বেরসিক ইংরেজি বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নন।তাইতো শুরু হলো ইচ্ছামতো নাচ, গান, আর মাস্তি। নুসরাতদের এসব আনন্দ, আর খুনসুটিতে বেলাটি যে কখন গড়িয়ে গেল তা বোঝা গেল পশ্চিম আকাশে অস্কায়মান সূর্যের রক্তিম আভায়। গোধুলি আলোয় কেন জিনি মন খারাপ করা বাতাস বইতে লাগল। সাড়াহ, মুনমুন, সানিয়া, সাগর, আওলাদেরা ভাবতেছিল আর কি এমন খুনসুটি, আর আড্ডা দেয়া হবে? নাকি সবকিছু শুধুই স্মৃতির মিনার হয়ে থাকবে। এসব ভাবতে ভাবতে যার যার মতো করে সবাই ফিরল দিনশেষে একরাশ স্মৃতিময় আর ফটোফ্রেমে আটকে থাকা কিছু সোনালি সময়কে সাথী করে।হয়ত শেষ হলো ক্যাম্পাস জীবন।তাই বলে বন্ধুত্ব! সে তো শেষ হওয়ার নয়। তাই সবাই মনের অজান্তেই গেয়ে চলল-
দেখা হবে বন্ধু সময়ের ব্যবধানে,
দেখা হবে বন্ধু চাপা কোনো অভিমানে,
দেখি হবে বন্ধু সাময়িক বৈরিতায়,
দেখা হবেই….।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে