ডেস্ক রিপোর্টঃ চলতি মৌসুমে জেলার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রকল্প এলাকায় দ্রুতগতিতে বোরো চাষ চলছে।
সরকারি সূত্র জানায়, বিএমডিএ কৃষকদের স্বল্প মূল্যে সেচ প্রদানের মাধ্যমে ৪৯ হাজার ৯৫০ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আট হাজার ৩২৫ হেক্টর জমি বোরো চাষের আওতায় এনেছে।
জেলার কৃষকরা বীজতলা থেকে বীজ তুলে ক্ষেতে রোপণ করার কাজে এখন ভীষণ ব্যস্ত। কাঙ্খিত উৎপাদন পেতে তারা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।
জেলার প্রকল্প এলাকায় কর্তৃপক্ষ ধান ক্ষেতের সেচ নিশ্চিত করতে ৩৩৫টি বিদ্যুৎচালিত গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে।
সদর উপজেলার বারোবালদিয়া গ্রামের বোরো চাষী আব্দুল হাই বলেন, কৃষকরা প্রতি বিঘা জমির জন্য এক হাজার পাঁচশ’ থেকে দুই হাজার টাকায় সেচের পানি স্থানীয়ভাবে সরবরাহকারীদের কাছ থেকে ক্রয় করছেন।
সরবরাহকারীরা বিদ্যুৎ ও ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ কার্য পরিচালনা করছে।
অন্যদিকে বিএমডিএ’র প্রকল্প এলাকার কৃষকরা প্রতি বিঘায় সেচের জন্য ব্যয় করছেন মাত্র নয়শ’ থেকে এক হাজার টাকা। যা বিএমডিএ গভীর নলকূপের মাধ্যমে সরবরাহ করছেন বলে জানান তিনি।
জেলার সাত উপজেলার বিএমডিএ পরিচালিত এলাকার কৃষকরা ২০০৫ সাল থেকে বাস্তবায়িত সেচ কার্যের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিএমডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী কুদরত-ই-ইলাহি বলেন, ইতিমধ্যে জেলার এসব এলাকায় ৮০ শতাংশ বোরো চাষ সম্পন্ন হয়েছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে