বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে বিএনপি কোনো হঠকারী কর্মসূচিতে যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আমরা দেখেছি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে যখন ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তখনও তেমন কোনো আন্দোলন হয়নি।২০১৪ সালে আটকে রাখার পরও কিছু হয়নি। ২০১৮ সালে নির্বাচন গেল, এখন আবার আপনি বলছেন উনি (খালেদা জিয়া) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আপনারা যে কর্মসূচিগুলো দিচ্ছেন এগুলোতো রাজনৈতিক কর্মসূচি। এ অবস্থায় রাজনৈতিকভাবে যে চাপ সেটা কি আপনারা পারবেন?

জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন সমাজে এটা নিয়ে (খালেদা জিয়ার চিকিৎসা) আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে চাপ সৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমাদের সব পরিস্থিতি বুঝেই কর্মসূচিগুলো দিতে হয়। আমরা কখনোই কোনো হঠকারী কর্মসূচির দিকে যেতে চাই না।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) আপনাদের বলেছি, উনি এখনও ওই অবস্থায় আছেন। সি ইজ ভেরি ক্রিটিক্যাল, ডাক্তার সাহেবরা মনিটর করছেন।   তাদের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর গুজবের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আগেও বলেছি এসব গুজবের কোনো ভিত্তি নেই। আপনারা সরাসরি আমাকে ফোন করবেন। সুকৌশলে কোনো মহল এ গুজবগুলো ছড়াচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, কৃষক দলের আহ্বায়ক হাসান জাফির তুহিন, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে