joy

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৬ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান তুলে ধরলেও তারাই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্যাতন অনুমোদন করে।

আওয়ামী লীগ অপহরণ কিংবা নির্যাতনকে কোনোভাবেই অনুমোদন করে না দাবি করে কথাগুলো বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়,যিনি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে উদ্ধৃত করে গত বছরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের হাতে নিহতের একটি পরিসংখ্যান হাজির করেছেন।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছেন,‘এটা তাদের জন্য যারা মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনাকে অনেক বড় কিছু মনে করছেন। এই হলো বাস্তবতা যে, ২০১৫ সালে মার্কিন পুলিশ তাদের দেশে ৯৮৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায়।’

বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবির পরে জয় ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দিল। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের বিষয়ে পর্যাপ্ত তদন্ত নিয়ে ‘প্রশ্ন’ তুলেছে। আর গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র দফতরে একটি প্রতিবেদন অবমুক্ত করে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে নারী ও শিশুসহ অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার ও অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখাও সমর্থন করে। অবৈধ অভিবাসন হচ্ছে একটি দেওয়ানি লঙ্ঘন, এটি কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়।’

t2DLF2q

ফেসবুক স্ট্যাটাসে জয় বলেন, ‘পরিশেষে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র দেশ যারা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্যাতন অনুমোদন করেছে এবং অপহরণ ও নিপীড়নের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন গোপন কারাগারগুলোতে মানুষকে আটক রেখেছে যাকে তারা বলে, ‘অসাধারণ পথদর্শন’। এদের অধিকাংশ হলো সন্দেহভাজন জঙ্গি, কিন্তু এদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরপরাধ নাগরিক, যাদের বছর খানেকের মাঝে বা তারও বেশি সময় পর ছাড়া হয়। এই সময়ের মাঝে তাদের পরিবার জানতে পারেন না যে তাদের অপহরণ করা হয়েছে।’ ‘যুক্তরাজ্যসহ বেশিরভাগ ইউরোপীয়ান দেশগুলো এই ‘অসাধারণ পথদর্শন’ কার্যক্রমের সাহায্যকারী। এসব ঘটেছে পূর্ববর্তী প্রশাসনের অধীনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সম্প্রতি তদন্ত শেষে ঘোষণা করেছে যে, এই কাজগুলো ছিল অবৈধ।

তথাপিও, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের লোকদের অপরাধমূলক কাজের তদন্তের বিষয়টি নাকচ করে এসেছে। কেউই কখনও এই বিষয়ে অভিযুক্ত হবেন না’, ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন জয়। ‘তাই, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তুলনা করলে, আমাদের পুলিশ কম হত্যা করেছে এবং আমরা অপহরণ বা নির্যাতনকে কোনোভাবেই অনুমোদন করি না।’

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে