বাংলাদেশে অন্তত ১৫ বছর ধরে এই দিবসটি তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে, দেশটিতে এটিকে ‘ভালোবাসা দিবস’ হিসেবে অনেকেই পালন করছে।

ডেস্ক রিপোর্টঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই ১৪ ই ফেব্রুয়ারিতে পালন করা হয় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে। বাংলাদেশে অন্তত ১৫ বছর ধরে এই দিবসটি তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে, দেশটিতে এটিকে ‘ভালোবাসা দিবস’ হিসেবে অনেকেই পালন করছে।

সোমবার ঢাকা ও দেশের প্রধান শহরগুলোয় তরুণ-তরুণীদের রঙিন সাজে দেখা গেছে। ফুল আর খাবারের দোকানগুলোয় রয়েছে ভিড়। কিন্তু বাংলাদেশের সমাজে ভিন্ন সংস্কৃতির এই দিবসটি উদযাপনের ক্ষেত্রে কতটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে?

লেখক ও অধ্যাপক সুমন রহমান বলছেন, ”আমার বিচারে খুব অল্প দিবসই রয়েছে সার্বজনীন, সত্যিকার অর্থে। বেশিরভাগ দিবসই আসলে কম্যুনিটি কেন্দ্রিক, একটি জনগোষ্ঠী কেন্দ্রিক। শহরের তরুণদের মধ্যে ভ্যালেন্টাইন ডে দিবসটির জনপ্রিয়তা আছে।”

তিনি বলছেন, ”জনগোষ্ঠীর একটি অংশ এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে, এর অনেক কারণ রয়েছে। পহেলা ফাল্গুন বা ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের বড় একটি কারণ যে, আমরা শহরের, চার দেয়ালের জীবনের বাইরে একটু যেতে চাই। এ কারেই এসব দিবস সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ” তবে এখনো এই দিবসটি শহর কেন্দ্রিক রয়ে গেছে। সুমন রহমান বলছেন,”সামাজিক মাধ্যম যেহেতু একেবারে গ্রামবাংলা পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে, তাহলে এটিও নিশ্চিত থাকা যায় যে, এখনো না হলেও কয়েক বছরের মধ্যেই এই দিবসটিও গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে যাবে।”

এর একটা অর্থনৈতিক কারণও রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এসব কারণে এরকম দিবসগুলোয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা প্রচারণা নিয়ে এগিয়ে আসে। মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো হয়ে যাওয়ায় উপহার দিয়ে, ভালো রেস্তোরায় খেয়ে মানুষ অর্থ খরচেরও একটি সুযোগ খোঁজেন।

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও, বাংলাদেশে তার কোন সম্ভাবনা নেই বলে তিনি মনে করেন।

কারণ বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনেক সহনশীল। এখানেও হয়তো কেউ কেউ এরকম কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ সমাজ এ ধরণের প্রোপাগান্ডায় উৎসাহিত হবে না বলে তিনি মনে করেন।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে