bashkhali_hotta

বিডি নীয়ালা নিউজ(৫ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনতার প্রতিরোধে পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ (মঙ্গলবার) বিকাল ৫টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ‘বাঁশখালী ভূমি রক্ষা আন্দোলনে নাগরিক সংহতি’ এ সমাবেশ আয়োজন করেছে।

আয়োজকদের একজন জানিয়েছেন,‘ভূমি রক্ষার আন্দোলনের কারণে অহেতুক প্রাণ কেড়ে নিল ছয় জন নাগরিকের। স্থানীয়রা দাবি করছেন, পুলিশের পাশাপাশি এস আলম গ্রুপের সন্ত্রাসীরাও গুলি চালিয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে এটা কীভাবে সম্ভব হল?’

নিরীহ জনগণকে নির্বিচারে গুলি করে মারার অধিকার কারো নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশে অব্যাহত হত্যা, লুণ্ঠন ও অপশাসনের অবসান চাই। প্রতিটি হত্যার হিসাব চাই।’

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপজেলার গণ্ডামারার উপকূলীয় এলাকায় এস. আলম গ্রুপ ও চাইনা সেফকো কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষে গত কয়েক মাস ধরে এলাকাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাধা প্রদান করছে স্থানীয় জনতা।

প্রকল্পের পক্ষে-বিপক্ষে দুইটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। একটি পক্ষ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিরোধে মিছিল মিটিং, সভা, সমাবেশের মাধ্যমে জোর প্রতিবাদ চালাচ্ছে। ওই পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে আছেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম মাস্টার।

এর আগেও গত ১৮ মার্চ এনিয়ে দু’পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। পরে সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষ নিয়ে পুলিশ বিদ্যুৎক্দ্রে বিরোধী মিছিলে গুলি চালিয়ে ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাজীপাড়া স্কুল মাঠে সমাবেশের ডাক দেন প্রতিরোধ কমিটি। আর একই সময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে সমাবেশের ডাক দেন আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম। সে কারণে পুলিশ সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। তবে বিকেলে ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করতে গেলে প্রতিরোধ কমিটির সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষের লোকজনও সংঘর্ষে লিপ্ত হন। সংঘর্ষে নিহত হন ৪ জন। তবে মৃতের সংখ্যা ৬ জন বলেও দাবি করেছেন অনেকে।

একই ঘটনায় পুলিশের ওপর গুলি, কর্তব্য পালনে বাধা ও হামলা অভিযোগ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত সহস্রাধিককে আসামি করে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাহার মিয়া একটি মামলা দায়ের করেন।

এসব মামলায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এলাকায় কোনো পুলিশও মোতায়েন করা হয়নি। এখনও লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে