ঢাকার শাহবাগে ফুলের বাজারে গতকাল ফুল কিনছেন এক তরুণী।

ডেস্ক রিপোর্টঃ হলুদ, লাল আর সবুজ কম্বিনেশনের শাড়ী পড়া মেয়েদের সংখ্যা রাস্তায় আজ বহু। উপলক্ষ আজ পহেলা বসন্ত উৎসব। এদিন কানে বা চুলে একটু ফুল গুজে না দিলে তাদের এই সাজগোজ যেন ঠিক সম্পন্ন হয়না।

আর বিশেষ দিবসকে মাথায় রেখে প্রিয়জনকে উপহার দিতেও অনেকে ফুল কিনছেন। সেই সাথে কালই রয়েছে ভালবাসা দিবস।

সবমিলিয়ে ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীদের মহা আনন্দের সময় এখন। যশোরের ফুলচাষী আব্দুর রহিম বলছেন গোলাপ ফুলের চাহিদাই ক্রেতাদের মধ্যে সবচাইতে বেশি। এছাড়া গ্লাডিওলাস, গাঁদা আর রজনীগন্ধাও ক্রেতাদের প্রিয়।

ঢাকার শাহবাগে প্রচুর ফুল।                      এবছর ফুলের চাষ বেশ ভাল হয়েছে।

তিনি বলছেনে এবছর ফুলের চাষ বেশ ভাল হয়েছে কারণ ফুল চাষের জন্য আবহাওয়া বেশ ভালো। তিনি বলছেন শুধু যশোরেই প্রায় বিশ কোটির টাকার ফুল উৎপাদন হয়েছে।

এই উপমহাদেশে মেয়েদের সাজগোজে ফুলের ব্যবহার বহু পুরনো। ঘরে বসে শিউলি, বকুল বা বেলি ফুলের মালা বানাতে অনেকেই বেশ আনন্দ পেতেন।

একসময় পূজা বা উৎসবে বাড়ির বাগানের ফুলই ছিলো একমাত্র উৎস। কিন্তু সেটি বেশ কিছুদিন হলো ভিন্ন মাত্রা নিয়েছে। নিজের বাগানের ফুলের চাইতেও লোকে এখন কেনা ফুলেই বেশি ঝুঁকছেন। কিন্তু তাতে কি ফুলের প্রতি ভালোবাসা বেড়েছে?

গোলাপ, গাঁদা গ্লাডিওলাস আর রজনীগন্ধার ক্রেতাই সবচেয়ে বেশি।                 গোলাপ, গাঁদা, গ্লাডিওলাস আর রজনীগন্ধার ক্রেতাই সবচেয়ে বেশি।

ফুলচাষী আব্দুর রহিম বলছেন, এখন বিয়ে-সাদি থেকে শুরু করে যেকোনো অনুষ্ঠানেই সাজাতে বা সাজতে ফুল ব্যবহার হচ্ছে। তবে তার মুল কৃতিত্ব খানিকটা ফুল চাষীদেরই।

এখন সারাবছর নানা জাতের ফুল চাষ হয় বলে বিক্রিও হয়। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে তিনটি বড় দিবস অর্থাৎ পহেলা বসন্ত, ভালোবাসা দিবস আর একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে ফুল বিক্রি সবচাইতে বেশি হয়।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে