hasina5

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার পুরাতন ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরের বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারা স্মৃতি জাদুঘর এবং জাতীয় চারনেতার স্মৃতি ভাস্বর জাতীয় চারনেতা স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন।
পাকিস্তান সরকারের সময় দীর্ঘকাল কারাগারে কাটানো বঙ্গবন্ধুর সে সময়কার ব্যবহার্য নানা সামগ্রী দেখে প্রধানমন্ত্রী এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মাঝেই দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নাজিম উদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রিয় কারাগারে এসে পৌঁছান। সেখানে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং জাতিয় চারনেতার প্রতি স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শেখ রেহানার পুত্র রাদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম,সাবেক সাংসদ ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড.একে আব্দুল মোমেন,মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ,প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আইজি প্রিজন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইফতেখারুল ইসলাম এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বঙ্গবন্ধুর অনেত স্মৃতি বিজড়িত সাবেক এই কেন্দ্রিয় কারাগারে প্রবেশ করেই বঙ্গবন্ধু কারা স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর কিছুক্ষন নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই মহান স্থপতির প্রতি সন্মান প্রদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত কারা কক্ষটি (বর্তমান বঙ্গবন্ধু কারা স্মৃতি জাদুঘর) ঘুরে দেখেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর এই কেন্দ্রিয় কারাগারেই জেল হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়া কক্ষটিতে যান (বর্তমান জাতীয় চারনেতা স্মৃতি জাদুঘর)। সেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট চার সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহযোগী তাজউদ্দিন আহমদ,সৈয়দ নজরুল ইসলাম,ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানের স্মৃতির প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের পর জাতীয় চারনেতার সন্মানে তিনি সেখানে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন।
এরআগে আইজি প্রিজন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইফতেখারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে এই স্থানে নির্মাণাধীন সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন।
এ বছরই ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার স্থানান্তর করায় নাজিম উদ্দিন রোডের এই পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারের অভ্যন্তরের দুইটি ঐতিহাসিক জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারের অভ্যন্তরে ২০১০ সালের ৮ মে পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন আন্দোলন- সংগ্রামে গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করা কক্ষটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারা স্মৃতি জাদুঘর এবং জাতীয় চারনেতার হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার কক্ষটিকে জাতীয় চারনেতা কারা স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে উদ্বোধন করেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে