পরিবারের সদস্যদের লেখাপড়ার প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঝোঁক কতটা ছিল তা উঠে এসেছে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায়।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষকী উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি সেই তথ্য জানান।

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাই রাজনীতি করতেন এবং পড়াশোনা করতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইডেন কলেজে রাজনীতি ও লেখাপড়ার পাশাপাশি বেহালা বাজাতেন। ’ 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বারট্রান্ড রাসেলের বই পড়ে বাংলা করে শোনাতেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে।

দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অল্প হলেও বই পড়ার প্রতি তার আগ্রহ ছিল। আমরা যদি সেই সময়টায় দেখি— একজন মানুষ স্বল্প শিক্ষিতা, প্রাতিষ্ঠানিক তেমন কোনও শিক্ষা পাননি, ১০ বছর বয়সের বাড়িতেই পড়েছেন। নিজে গিয়ে নিউ মার্কেটে থেকে বই কিনে নিয়ে আসতেন। স্বামী মুজিব যখন জেলাখানা থেকে চিঠি লেখেন, চিঠিতে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার কথা বলেন— হাসু-কামাল যেনও লেখাপড়া করেন। একই সঙ্গে তার স্ত্রীকেও বলছেন—তুমি পড়াশোনাটা করবে। বঙ্গমাতার শুধু পড়াশোনা করার আগ্রহ ছিল তাই নয়, বঙ্গবন্ধু তাকে পড়াশোনায় অনুপ্রাণিত করতেন। ক’টি বাড়িতে এমনটা দেখবো যে. রাজনীতিক স্বামী (বঙ্গবন্ধু) পড়ছেন, শুধু্ আমাদের ইতিহাস নয়, সারা বিশ্বের সাহিত্য ও দর্শন। আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুর পছন্দ বারট্রান্ড রাসেলের লেখা ইংরেজিতে পড়েছেন এবং সেটা অনুবাদ (বাংলায়) করে স্ত্রীকে শোনাচ্ছেন। ’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাধীন দেশে শিক্ষার একটি সামগ্রিক দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আমরা যেনও তার দেখানো পথে চলতে পারি। ’

শিক্ষামন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকীর ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমুখ।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে