fidel-kastro

আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোকে শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে দেশটির জনগণ।

তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে ন’দিনের শোক কর্মসূচি।

শুক্রবার শুক্রবার গভীর রাতে ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়।

আগামী সোমবার থেকে লোকজন তার দেহ-ভস্মের প্রতি সম্মান জানাতে পারবেন। সেদিন থেকেই শুরু হবে মূল কর্মসূচি। এজন্যে রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।

হাভানা ও সান্তিয়াো শহরে বড়ো রকমের সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

রাজধানী হাভানায় লোকজনের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে রেভ্যুলিউশন স্কয়ারের সমবেত হওয়ার জন্যে।

পরে তার ভস্ম নিয়ে যাওয়া হবে সান্তিয়াগো দে কিউবাতে, যেখান থেকে তিনি ক্ষমতার জন্যে তার বিপ্লবী আন্দোলন শুরু করেছিলেন।

ক্যাস্ত্রোর নেতৃত্বে তার গেরিলা দল যে পথ ধরে অগ্রসর হয়েছিলো সেই পথ ধরেই নিয়ে যাওয়া হবে তার দেহ-ভস্ম।

একদিকে, লোকজন যখন তার মৃত্যুতে শোক পালন করছে, তেমনি অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে কিছু মানুষ তার মৃত্যুতে আনন্দ উল্লাসও প্রকাশ করছে।

ফিদেল কাস্ত্রো-বিরোধী এইসব কিউবানরা যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে এসেছে মিয়ামিতে সপরিবারে বসবাস করছেন।

বিংশ শতাব্দীর প্রতীক হয়ে উঠে এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বিশ্ব নেতারাও। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ‘নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে বলেছেন, ‘রাশিয়ার বিশ্বস্ত ও আন্তরিক বন্ধু।’

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, পৃথিবী একজন ভালো কমরেডকে হারিয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ফিদের ক্যাস্ত্রোর শাসনামলে কিউবায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। তবে তিনি আশা করছেন, ‘দেশটি এখন সংস্কারের পথে অগ্রসর হবে।’

কিউবার সবচে ঘনিষ্ঠ মিত্র ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, “সারা বিশ্বের বিপ্লবীরা তাকে অনুসরণ করবে।”

ক্যাস্ত্রো ক্ষমতায় আসেন ১৯৫৯ সালে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় বসে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সূচনা করেন।

তার সমর্থকরা তাকে দেখেন শীতল যুদ্ধের সময়কার এক বীর নায়ক হিসেবে। আর সমালোচকদের চোখে তিনি একজন একনায়ক।

শীতল যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬১ সালে কিউবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। এবং জারি করে অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ।

এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে কিউবার উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে দুটো দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হয়েছে। ২০১৫ সালে স্থাপিত হয়েছে কূটনীতিক সম্পর্কও।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে