fahim

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৯ই জুন ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃমাদারীপুরে শিক্ষককে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আটক ফাইজুল্লাহ ফাহিম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার পর তার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘মায়াকান্না’ করছেন মন্তব্য করে এর কারণ জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় সংসদে বুধবারের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘যে লোকটা (ফাহিম) একজন কলেজ শিক্ষককে মারতে গিয়ে জনগণের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে। তার জন্য খালেদা জিয়ার এত মায়াকান্না কেন এটা আমার প্রশ্ন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে? হাড়ির ভাত সিদ্ধ হচ্ছে কী না একটা টিপলেই বুঝা যায়। এই ঘটনা থেকেই বুঝা যায় গুপ্ত হত্যার সাথে তাদের (বিএনপি) একটা সম্পর্ক রয়েছে। প্রকাশ্যে মানুষ পুড়িয়ে তারা জনগণের রুদ্ধরোষের শিকার হয়েছে। এখন গুপ্ত পথে এসব ঘটনা ঘটিয়ে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’

মাদারীপুরে গত ১৫ জুন মাদারীপুরে সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের গণিতের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার পর জনতা ফাহিমকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছিল।

পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। রিমান্ডে নেওয়ার পরদিন সকালে মাদারীপুরের একটি চরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে ফাহিম নিহত হন বলে পুলিশের দাবি।

সম্প্রতি এক ইফতার অনুষ্ঠানে ঢাকার উত্তরার কলেজ ছাত্র -ফাহিমকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে বলে দাবি করেন খালেদা জিয়া।

শেখ হাসিনা সংসদকে বলেন, ‘মাদারীপুরে একজন শিক্ষক রিপনকে হত্যার জন্য তার ওপর আঘাত করা হলো। মাদারীপুরের জনগণ সাহসের সাথে সেই ‌আঘাতকারীকে ধরে ফেলল। পরে ‍তাকে নিয়ে আরো লোকজন ধরতে গেলে সে ‘ক্রসফায়ারে’ বা.. যে কোনো কারণে হোক মৃত্যুবরণ করেছে।’

দেশের সাধারণ নাগরিকরা খালেদা জিয়ার বিচার করবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোজা রমজানের দিনে আমরা ইফতার অনুষ্ঠানে গিয়ে আল্লাহ রসুলের নাম নিই। আর ওই মহিলা ইফতারে গিয়ে.. প্রতিদিন নতুন নতুন গিবত গাওয়া, মানুষের বদনাম করা আর মিথ্যা অসত্য কথা বলা, এটাই হচ্ছে তার চরিত্র। এর বেশি আমি বলতে চাই না।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর

প্রধানমন্ত্রীর আগে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

গুপ্তহত্যা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের হত্যাকাণ্ড যারাই ঘটাবে, যে-ই হোক, তার বিষয়ে আমরা অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নেব। জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব এবং আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।’

 

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা সরকারের আসার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের স্থান এখানে হবে না। আর বাংলার মাটি ব্যবহার করে কেউ কখনো জঙ্গি তৎপরতা চালাতে পারবে না। এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট শক্ত ব্যবস্থা নিয়েছি।’

‘তবে কিছু কিছু ঘটনা ঘটছে। তবে সাথে সাথে এসব ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করার ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা সংস্থা যথেষ্ট তৎপর,’ বলেন শেখ হাসিনা।

গোয়েন্দাদের তৎপরতার জন্য বেশ কিছু বড় ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অনেকগুলি বড় বড় ঘটনা ঘটার ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেগুলো যথাসময়ে গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য দিয়েছেন। আমরা সেগুলো ধরেছি।’

 

 

rtnn

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে