ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা সফরকালে নগরী ও জেলায় সম্পন্ন হওয়া ৪৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৫২টি নতুন ও সম্প্রতি শুরু হওয়া প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
আগামী ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার খালিশপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সম্মেলনে এবং বিকেলে নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।

জেলা প্রশাসক আমিন-উল-আহসান মঙ্গলবার বাসসকে জানান, জনসভায় বক্তৃতার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে শেষ হওয়া ৪৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৫২টি নতুন ও সম্প্রতি শুরু হওয়া প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গত ৯ বছরে এই ৪৭টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও শেষ করেছে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ), গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি), এলজিইডি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), বাংলাদেশ রেলওয়ে, জেলা ক্রীড়া পরিষদ, জেলা পরিষদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা ওয়াসা গত ৯ বছরে এই ৪৭টি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করেছে।

সব কয়টি বিভাগ নতুন ৫২টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের মধ্যে বেশকিছু প্রকল্পের কাজ এ বছরই ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
এদিকে খুলনা নগর ও জেলা ১৪ দল এবং বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি (জিকেইউএসএসসি) আজ খুলনা প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর খুলনায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
প্রকল্পগুলো হলো : খান জাহান আলী বিমানবন্দর, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, খুলনা-মংলা রেলওয়ে লাইন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আইটি ভিলেজ, মংলা বন্দরের উন্নয়নে নদী খনন, ভোমরা বন্দরের আধুনিকায়ন এবং মংলায় ইপিজেড স্থাপন।

তারা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বেসরকারি শিল্প বিকাশে পাইপ লাইনের মাধ্যমে দ্রুত গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিজান এমপি এবং জিকেইউএসএসসি’র মহাসচিব শেখ আশরাফুজ্জামান পৃথকভাবে তাদের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল হোসেন, তালুকদার আবদুল খালেক এমপিসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এবং খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। উভয় সংগঠনের নেতারা পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, এই সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে দেশের যোগাযোগ ইতিহাসে নবদিগন্তের সূচনা হবে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

 

 

 

 

 

 

 

B/S/S/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে