ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি মহড়া অবলোকনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য আজ শনিবার মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাহাইজ্জার চর আসছেন।
উল্লেখ্য, যেটি বর্তমানে সেনাবাহিনী কর্তৃক নতুন নাম স্বর্ণদ্বীপ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে স্বর্ণদ্বীপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আগামীকাল সকাল সাড়ে ১১টায় হেলিকপ্টার যোগে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণদ্বীপে পৌঁছার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন সেনাবাহিনী প্রধান লে. জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১তম পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপ এলাকায় আসন্ন ম্যানুভ্যার অনুশীলন-২০১৬ মহড়া অনুষ্ঠান অবলোকনসহ ওই চরে সেনাবাহিনীর বনায়ন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
নোয়াখালীর দক্ষিণে মেঘনা নদী থেকে প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠে এই চর।
এ ছাড়া এ চরে জেলার সুবর্ণচর ও চট্রগ্রাম জেলার সন্দ্বীপের কিছু অংশ রয়েছে। মূলত তিনটি উপজেলার ভূমি নিয়ে এই চরের উৎপত্তি।
প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সহযোগিতায় ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র সরঞ্জামাদি।
নতুন সংযোজিত আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদির ওপর সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য স্বর্ণদ্বীপের বিশাল এই আয়তন ভূমি রণকৌশলগত ও বহুমুখী প্রশিক্ষণ এলাকার অভাব দূর করে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তার পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই চরটি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের পর এটি স্বর্ণদ্বীপ হিসেবে নামকরণ করা হয়। এ দ্বীপের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি ত্রিমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রশিক্ষণের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বনায়ন ও স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে স্বর্ণদ্বীপকে রক্ষার জন্য সেখানে বনায়ন ও বৃক্ষরোপণের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর বনায়ন ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ৬০ হাজার ঝাউ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। হেলিকাপ্টারের সহায়তায় সিড বোম্বিং-এর মাধ্যমে ২ টন কেওড়ার বীজ বপন করা হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আনা ডুয়ার্ফ প্রজাতির ১৫শ’ নারিকেল গাছের চারার সমন্বয়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কারিগরি সহায়তায় একটি আদর্শ নারিকেল বাগান তৈরি করা হয়েছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে