কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রণোদনার আড়াই হাজার টাকা প্রদানের তালিকা তৈরীতে অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। সোমবার দুপুরে মাগুড়া চেকপোস্ট বাজারে রংপুর-জলঢাকা সড়কে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষুদ্ধদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হোসেন শিহাব মিঞা দরিদ্রদের বঞ্চিত করে সম্পদশালীদের ওই সুবিধা প্রদানে তালিকা দাখিল করেছেন। তালিকায় পাকা বাড়ি, ১৫ থেকে ২০ বিঘা কৃষি জমির মালিক, স্বচ্ছল ব্যবসায়ীসহ তার নিকট আত্মীয়-স্বজনের নাম অন্তভুক্ত করেছেন। 
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীদের অভিযোগ, তালিকার ২৫০ নম্বরে নাম থাকা ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হাইয়ের রয়েছে ২০ বিঘা কৃষি জমি ও আধাপাকা বাড়ি।  তিনি এবারে আট বিঘা জমিতে ভুট্টা ও আট বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। রয়েছে হলুদ ও আদার আবাদ। ওই কৃষকের নামে রয়েছে খাদ্য বান্ধন কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চালের কার্ড। পাশাপাশি ২৬৬ নম্বরে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ওই কৃষকের ছোটভাই আব্দুল মতিনের নাম। তারও রয়েছে আধাপাকা বাড়িসহ সম পরিমান কৃষি জমি। ওই দুই ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়। একইভাবে ২৭০ নম্বরে নাম থাকা সরকারপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামও ২৬৭ নম্বরের শরিফুল ইসলামের আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলেও তালিকায় নাম উঠেছে তাদের। 
তারা বলেন,”ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন অনিয়ম দূনর্ীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার এমন অনিয়ম ও দূর্নীতে স্থানীয় সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সধারণ মানুষ। এসব অনিয়ম-দূনর্ীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন জেলা প্রশাসকের বরাবরে”।
মানববন্ধন চলাকালে সেখানে আসাদুজ্জামান হিরনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন তাজুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ, কলেজ শিক্ষক আখতারুজ্জামান মিঠু প্রমুখ।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হোসেন শিহাব মিঞা বলেন,”আমি মে মাসের ১ তারিখে পত্র পেয়েছি, ৩ তারিখের মধ্যে তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছিল। ওই পত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার আড়াই হাজার টাকা প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা শুনেছিলাম সে সময়ে। আমি ওই সময় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও পরিষদের সভা করে ১০৭৩ জন প্রকৃত সুবিধাভোগির তালিকা প্রদান করেছি। এরপর ওই তালিকা উপজেলা প্রশাসন দুইবার যাচাই করে চুড়ান্ত করেছে। কোন সম্পদশালী ব্যক্তি তালিকায় নেই। একটি কুচক্রী মহল কর্মসূচিকে ব্যাহত করার জন্য এধরণের অভিযোগ তুলছেন”।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,”অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে