আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকেঃ দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্মরণকালের ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। যা বিগত ৫০ বছরেও কখনো দেখেনি বলে জানায় এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠবৃন্দ। শুক্রবার আনুমানিক বেলা ১২টায় শুরু হয়ে ২০মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে এলাকায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় বিশেষ করে টিন নির্মীত বিভিন্ন বাসা বাড়ির ছাউনীতে শিলাবৃষ্টির কারণে টিনে বড় আকারের ছিদ্র সৃষ্টির পাশাপাশি আমের মুকুল ঝরে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসব শিলার আনুমানিক পরিমান ছিল ১শ থেকে ৭শ গ্রাম পর্যন্ত। এমন বৃহৎ আকারের শিলাপাত তাদের জীবদ্দশায় দেখেনি বলে জানান এলাকার ৬০উর্দ্ধবৃদ্ধসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এসময় সহায় সম্বল হারা অসহায়দের আত্মচিৎকার ও আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। শিলাবৃষ্টির চলাকালে ঘরবাড়ী মেরামতে নিয়োজিত অবস্থায় বিশাল আকৃতির শিলাখন্ড মাথায় পড়লে বড়চন্ডিপুর চৈতাপাড়া গ্রামের মৃত লালমিঞার পুত্র সৈয়দ আলী (৫০) মারা যায়। এসময় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পৌরসভাসহ ১০ ইউনিয়ন ও পাশ্বর্বতী অঞ্চলে টিননির্মিত ঘরবাড়ী, দোকান পাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তছনছ, লন্ডভন্ড হয়ে যায় এসময়।

এ বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার মাহমুদুর রহমান নিহতের বিষয়টি নিশ্চত করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২০ জনের মতো আহত ব্যক্তি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু ফাত্তাহ মোঃ রওশন কবির বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে আমের মুকুল ঝরে গেলেও ধান বা ভুট্টার আবাদে তেমন প্রভাব পড়বে না।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে