প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদ্য সাবেক সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলমকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তাকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী করে রোববার (১৮ জুলাই) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এর আগে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শামসুল আলম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন এম এ মান্নান। মন্ত্রিসভায় এখন প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। শামসুল আলম যুক্ত হওয়ায় প্রতিমন্ত্রী হলেন ২০ জন।

ড. শামসুল আলম ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে এমএসসি, ১৯৮৩ সালে ব্যাংককের থাম্মাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ অর্থনীতি এবং ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসেল আপন টাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন।

কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানির হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডের ভাগিনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট ইকনোমিকস স্কুলে শিক্ষকতায় নিযুক্ত ছিলেন।

ড. আলম জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় ২০০২ সালের মার্চ থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ণকালীন চাকরিতে ছিলেন। ইউএনডিপি বাংলাদেশে ১৪ মাস সিনিয়র স্কেলে পূর্ণকালীন জাতীয় কনসালটেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

৩৫ বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা শেষে শামসুল আলম ২০০৯ সালের ১ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। পরে দফায় দফায় বাড়ে তার চুক্তির মেয়াদ। গত ৩০ জুন তার সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।

এদিকে অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার শামসুল আলমকে ২০২০ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। এর আগে ২০১৮ সালে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডিউলিং তাকে ‘ইকোনমিক অব ইনফ্লুয়েন্স অ্যাওয়ার্ড’ দেয়।

এছাড়া, কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে দক্ষতা ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি ২০১৮ সালে শামসুল আলমকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। তার গবেষণা, পাঠ্যপুস্তকসহ অর্থনীতি বিষয়ক প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১২টি।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে