ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান ও রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন বলেছেন, ইইউ আশা করে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় যে শিক্ষা হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের সব কটি রাজনৈতিক দল পরের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে এবং বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক হবে। এজন্য সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে যাওয়া প্রয়োজন। ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায় বা ইউরোপীয় সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠার ভিত্তিমূল ট্রিটি অব রোমের ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ইইউ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

একই সময়ে জিএসপি সুবিধা অর্জনের ব্যাপারে বাংলাদেশে প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ইইউর কূটনীতিক। বাংলাদেশে নির্বাচনে কে অংশ নেবে, কে নেবে না, তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিষয় নয়। তবে বিশ্বে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অনুপ্রেরণা দেওয়ার বিষয়ে ইইউর একটি এজেন্ডা আছে। সে কারণে আমরা বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করে থাকে। এটা বিশ্বের যে কোনো স্থানের জন্যই প্রযোজ্য।

বাংলাদেশে এখন যা চলছে তা মোটেও কাম্য নয়। আমরা কখনোই চাই না, বাংলাদেশ অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র্রের অভাবে কোনো বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ুক। হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সরকারের আলোচনা সম্পর্কে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা পজেটিভ। বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক সমাজ আছে।

ব/দ/প

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে