নীলফামারীতে বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কমেনি তিস্তা পাড়ের জনগণের। উঠতি আমন ক্ষেত আংশিক নিমজ্জিত হয়েছিল।তবে এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮০০ পরিবারের জন্য ১৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তর। যা রোববার (২২ আগস্ট) বিতরণ করা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।

ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, তিন দফায় তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে তিনটি চরের ছয়শ’ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি তলিয়ে গিয়েছিল। এখন পানি কমতে থাকলেও জলাবদ্ধতা রয়েছে। আর পানি কমায় ভাঙন শুরু হয়েছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, পানির কারণে বালুর বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এটি রক্ষায় আমরা বালুর বস্তা, বাঁশ দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করি। বন্যায় ইউনিয়নের পাঁচশ’ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডিমলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, পানি বাড়ায় ৬ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল। এখন পানি নামতে শুরু করেছে। আমরা এলাকাগুলো পরিদর্শন করে দেখছি যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা।

ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি ইউনিয়নের জন্য ১৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঝুনাগাছ চাপানিতে ছয় মেট্রিক টন, টেপাখড়িবাড়ি, পূর্ব ছাতনাই, খাঁলিশা চাপানি ও খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে তিন মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রোববার এসব এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে।  

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে