জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ বারো সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ হওয়ায় বেশ জোড়ে-শোড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ঝকঝক করণে।

ইতোমধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি অগোছানো টেবিল চেয়ার, অন্যান্য উপকরণ গোছানো এবং বিদ্যালয় স্বাভাবিক করণের কাজ প্রায় সেড়ে ফেলেছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মব্যস্ত সময়ের চিত্র দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের মাঝে।
এ রকমই একটি বিদ্যালয় ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টেপাখড়িবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়ের দপ্তরী আতাউর রহমান ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বøাকবোর্ড পরিস্কার করণ, টেবিল ও বেঞ্চ সাজানোয় এবং ময়লা অপসারণে ঝাড়– দেয়ার কাজে।

তিনি জানান, গেল দু’দিন থেকে এ কাজ শুরু করেছি। অনেক দিন বন্ধ ক্লাশ রুমগুলো। ধুলো বালি জমেছে। বসার বেঞ্চগুলো এদিক সেদিক হয়ে রয়েছে।

কয়েকদিন পর শিক্ষার্থীরা আসবে, পাঠদান শুরু হবে। যার জন্য সজ্জিত করণের কাজ শুরু করেছি।
আরেকজন বেলাল হোসেন। নীলফামারী জেলা শহরের স্কুল এ্যান্ড কলেজের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত। বিদ্যালয়ের মাঠ পরিষ্কার করণ, ঝাড়-দেয়া ও টেবিল চেয়ার থেকে ধুলো ময়লা অপসারণের কাজে ব্যস্ত সে।

বেলাল হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যে শৌচাগার পরিচ্ছন্ন, বিদ্যালয়ের মাঠ পরিস্কার করা হয়েছে। বাকি কয়েক দিনের মধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা যাবে।

টেপাখড়িবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাতুন জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ’শ। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শুরু হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। শেষের পথে। আশা করি ১২সেপ্টেম্বরের আগে যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হবে।

শিক্ষা বিভাগ সুত্র জানায়, জেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০৮৪টি, নি¤œ মাধ্যমিক ৬১৪টি, মাধ্যমিক ২০০টি, স্কুল এ্যান্ড কলেজ ৪৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক ৭৮টি, ডিগ্রী কলেজ ২৭টি, ইবতেদায়ী ২৯৪টি, দাখিল মাদরাসা ১০৫টি, আলিম মাদরাসা ২২টি, ফাজিল ১৫টি, কামিল ৩টি, এসএসসি ভোকেশনাল ৪১টি, এসএসসি ভোকেশনাল ৫টি, বিএমআই ১৭টি ও টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ ৫টি রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর পড়ার উপযোগী করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ পর্যায়ে।

তিনি বলেন, বন্যায় কিছু বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলো মেরামত করে অথবা বিকল্প পদ্ধতি পাঠদান করার প্রক্রিয়া চলছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। সরকারী নির্দেশনা অনুসারে বিদ্যালয়ে ক্লাশ শুরু করার পরিকল্পনা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে।
বলা যায় প্রস্তুতি সম্পন্ন হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যালয়গুলোকে পাঠদানের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে