কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: উত্তরের জেলা নীলফামারীতে এবার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকেরা অল্প পুঁজি ও বাণিজ্যিকভাবে এ আখ চাষ করেন। এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় বাম্পার ফলনে তারা খুশি। আবার দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। ফলে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। এতে দিন দিন যোগ হচ্ছে নতুন আখ চাষীদের।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ১৭৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে ১৫ একর জমিতে চাষ বেড়েছে। ৭-৮ মাসের মধ্যে আখের ফলন পাওয়া যায়। উপজেলায় যারা আখ চাষ করেছেন, তাদের সাথী ফসল হিসেবে অন্য ফসল রোপণের পরামর্শ দিয়েছে। এতে আখ চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।

সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের মেম্বারপাড়ার শ্রী মাধব চন্দ্র রায় বলেন, ‘গত ৩ বছর ধরে নিয়মিত আখ চাষ করছি। এ বছর ২২ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। এ বছর খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বাজারে অন্তত ৫০-৬০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো। এবার দাম বেশি হওয়ায় আখ চাষ বাড়ছে।’

কৃষক রতন চন্দ্র রায় বলেন, ‘চলতি বছর ১৫ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। আখ চাষের উপযোগী বেলে দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটি। প্রতি ৩০ শতাংশ জমিতে খরচ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আখ চাষে খরচ কম কিন্তু পরিশ্রম একটু বেশি।

কৃষক শিখনাথ রায় বলেন, ‘আমি ১৫ শতাংশ জমিতে চাষ করছি। লাভ ভালো হওয়ায় আগামীতে বেশি করে চাষ করবো। সময়মতো ওষুধ দিতে না পারলে পচন রোগ বাড়ে। তবে কম খরচে বেশি লাভ হয়। এর জন্য ঠিকমতো পরিচর্যা করতে হয়।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া সবুজপাড়া নদীরপাড় এলাকার কৃষক জাকারিয়া বলেন প্রায় ২ বিঘা জমিতে আখ চাষ করছি শ্রমিক এর পাশা পাশি নিজেও আখ ক্ষেতে কাজ করতে হচ্ছে। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবার দুই বিঘা জমিতে মোটামুটি একটা বেনিফিট আসবে। কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লোকমান আলম জানান এ বছরে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মোট ১১০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে কৃষককে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি।

জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের বিন্যাকুড়ী গ্রামের ইয়াছিন আলী বলেন, ‘এ বছর ৩২ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। কীটনাশক ও শ্রমিকসহ ৩৫ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর অন্তত দেড় লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারবো।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে