asaduzzaman_khan_kamal

বিডি নীয়ালা নিউজ(২১ই  মে১৬)-ডেস্ক রিপোর্টঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করতে নিষ্ক্রিয় জঙ্গিদের সক্রিয় করে দেশের ভেতরে নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ ডিএমপি ট্রেনিং সেন্টারে ‘টেরোরিস্ট থ্র্রেট অ্যান্ড রেসপন্স’ বিষয়ক সপ্তাহব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের ট্রেনিং একাডেমি এবং সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পলিটিকাল ভায়োলেন্স অ্যান্ড টেররিজম রিসার্চ সংস্থা কর্মশালাটি আয়েজন করেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন মহল জঙ্গিদের উস্কে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এরমধ্যে একটি দলও জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে দেশে জঙ্গি মাথা চাড়া দিতে না পারে,  সে বিষয়ে পুলিশের বিশেষ এ ইউনিটকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের সমস্যা শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে। সিটি ইউনিটে সক্ষমতা বাড়াতে আমরা কাজ করছি। এই ইউনিটকে শক্তিশালী করতে যত প্রকার প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশে থাকা জঙ্গি সদস্যরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে ও দমন করতে সিটি ইউনিটের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম টিমও কাজ করছে।

জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে নবগঠিত কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পলিটিকাল ভায়োলেন্স অ্যান্ড টেররিজম রিসার্চের (আইসিপিভিটিআর) রিসার্চসার ‍ড. রুহান গুনা রত্ন বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি সিঙ্গাপুরের কাউন্টার টোরোরিজম ইউনিটের প্রধান। ড. রুহান গুনারত্ন বলেন, শুধু জঙ্গিদের গ্রেফতার করলেই হবে না, তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে। ইন্টারনেট ও সাইবার টেকনোলোজির মাধ্যমে জঙ্গিরা বেশি যোগাযোগ করে। তারা সাইবারের মাধ্যমে নানাভাবে সদস্য সংগ্রহ করছে। সহজেই তারা নাশকতামূলক নির্দেশনা দিতে সক্ষম হচ্ছে। এতে তারা সংগঠিত হয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। দেশের জঙ্গিবাদ দমন করতে হলে ইন্টারনেট ও সাইবার মাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তা না হলে জঙ্গিবাদ কোনোভাবেই দমন করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সিটি ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, সিটি ইউনিট পুলিশের একটি নতুন ইউনিট। ইউনিটের নানা বিধ কার‌্যক্রম সম্পর্কে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মশালায় আলোচনার বিষয়গুলো ধারণ করে সবাই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে আমি আশা করছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সিটি ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সিঙ্গাপুরের আইসিপিভিটিআর’র প্রধান ড. রোহান গুনারত্ন, মিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম প্রমুখ।

সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে