সম্প্রতি ওয়াটসঅনে আয়োজিত হয়েছে নতুন প্রজন্মের তরুণদের জন্য একটি ঝলমলে এ্যাওয়ার্ড পার্টি। বাঙ্গালি সমাজ কে যারা আরও উন্নত করে গড়ে তুলতে সাহায্য করছে মূলত তাদের জন্যেই এই এ্যাওয়ার্ড ফাংশান টি এরেঞ্জ করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান টি উৎযাপন করা হয়েছে ওয়াটসঅন এর বাংলাদেশ একাডেমি যেটা উত্তরা সেক্টর তিন-এ অবস্থিত।

এই এ্যাওয়ার্ড ফাংশান টি মূলত আয়োজিত হয়েছিল বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের আর্টিস্টদের উৎসাহ দেয়ার উদ্দশ্যে। বাঙ্গালি সংস্কৃতির অনেক প্রথা-ই দিন দিন হারিয়ে চলেছে।

ওয়াটসঅন চায় মিউজিক এবং আর্ট আমাদের প্রবীণ প্রজন্মের মাধ্যমে জীবিত থাকুক তাই তাদের উৎসাহ দেয়া খুব-ই জরুরি। এটা-ই ওয়াটসঅন এর মূল উদ্দশ্যে যেন হারিয়ে যাওয়া গান বাংলার তরুণরা বাঁচিয়ে রাখতে পারে।

ওয়াটসঅন এর এই এ্যাওয়ার্ড পার্টিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিসট্রিক কমিশনার জনাব মোরশেদ আলম। তিনি প্রথমে ওয়াটসঅন কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, প্রথমত, আমি ওয়াটসঅন একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যিনি আমাকে এখানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি এখানে সম্মানিত বোধ করছি। এখানে সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের আমি অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি সেই তরুণ তারকাদেরও অভিনন্দন জানাতে চাই যারা ওয়াটসঅন পুরস্কারের অধিকারী।

ওয়াটসঅন এ্যাওয়ার্ড পার্টিতে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “আমি এটা শুনে সত্যিই আনন্দিত যে ওয়াটসঅন প্রায় ৩০ বছর ধরে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করছে এবং বাংলাদেশেও এটি প্রায় ১৫ বছর ধরে কাজ করছে। এটি বিশ্বব্যাপী তরুণ তারকাদের প্রচার করছে।

ওয়াটসঅন এর এই এ্যাওয়ার্ড পার্টি তে আমন্ত্রিত হয়েছিল লোকাল বিজনেস, পলিটিসিয়ান্স, পুলিশ, এবং ছাত্র।

বেস্ট ব্রেকথ্রু আর্টিস্ট এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শিবলু মৃধা। বেস্ট ডিজিটাল ক্রিয়েটরের ট্রফি পেয়েছেন শামিম হাসান সরকার। রাইজিং স্টার এ্যাওয়ার্ড বিজয়ী হয়েছেন মুনিফ। ড্যাডস ইন দ্যা পার্ক পেয়েছে বেস্ট ব্যান্ড এ্যাওয়ার্ড।

লিলি ইসলাম জয় করেছেন এ বছরের এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড। বেস্ট হিপ হপ আর্টিস্ট এ্যাওয়ার্ড বিজয়ী হয়েছেন ব্ল্যাক জ্যাং। সেরা রাইটারের তকমা পেয়ে পুরষ্কার পেয়েছেন প্রফেসর তানভির আহসান এবং প্রফেসর ইসমাত যারিন। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন অর্জন করেছে সেরা চ্যেঞ্জ মেকার এ্যাওয়ার্ড।

বেস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রফি জিতেছে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি। ম্যানুয়েল ক্যাফে পেয়েছে বেস্ট রেস্টুরেন্ট সম্মাননা। বেস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার হিসেবে ট্রফি পেয়েছে গ্রেটওয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার।

মনোরঞ্জনের জন্যে এ্যাওয়ার্ড প্রদানের পাশাপাশি ওয়াটসঅনের পার্টি তে রয়েছিল নৃত্য, গান, ভায়োলিন, র্যাফল ড্রো এবং ডিনারের ব্যবস্থা।

ওয়াটসঅন আশাবাদি নতুন প্রজন্মের আলোকিত মুখ গুলো আমাদের বাংলা কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, ভুলে যাবে না পুরানো সংস্কৃতি। আগামী ২০২৩ সালেও ওয়াটসঅন আশা করছে নতুন এ্যাওয়ার্ড পার্টির।

স্যাম আলিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “ওয়াটসঅন প্রতিভাবান প্রজন্মকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে যারা আমাদের জন্য একটি ভাল সমাজ গড়ে তুলছে। বিশ্বকে পরিবর্তন করতে ওয়াটসঅন-এ যোগ দিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে