নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে উদ্ভাবনী নীতি ও আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিক নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত উইমেন 
স্পিকার্স অফ পার্লামেন্টের ১৩তম সামিটে ‘২০৩০ সালের মধ্যে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ এবং নারীদের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য প্রথাগুলো বিলীন হয়ে যাবে’ শীর্ষক আলোচনায় স্পিকার এ কথা বলেন।পরে জাতীয় সংসদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সাল খুব সন্নিকটে এবং নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে লক্ষ্যগুলো অর্জনে সময় খুব বেশি নেই। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষ সমতা আনয়নে নারীর প্রতি সহিংসতা একটি জটিল বাধা। প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, অভ্যাস, আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার জরুরি। উদ্ভাবনী নীতি ও আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিক নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে জিম্বাবুয়ের সিনেট প্রেসিডেন্ট ম্যাবেল এম চিনোমনা, ওএসসিই পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলির মার্গারেটা সেডারফেল্ট, স্পেনের কংগ্রেস অফ ডেপুটিজ এর প্রেসিডেন্ট মেরিটজেল ব্যাটেট, উরুগুয়ে জেনারেল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট বিয়াট্রিজ আরজিমন, মোজাম্বিক অ্যাসেম্বলির স্পিকার স্পেরানকা লরিন্দা ফ্রান্সিসকো নিউয়ান বায়াসসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পিকার, বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদল বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি, রুমানা আলী এমপি, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার উপস্থিত ছিলেন।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে