রাব্বি সরকার, নারায়ণগঞ্জ থেকেঃ শহরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পানি নিষ্কাশনের অনকেগুলো ড্রেন মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো দ্বারা পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় সেগুলো মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। শহরের চাষাঢ়া বালুরমাঠ, চাষাঢ়া শহীদ জিয়া হল ও খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল সংলগ্ন ড্রেনগুলোতে এ অবস্থা দেখা গেছে।

এদিকে শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে পানি নিষ্কাশনের জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ড্রেন নির্মিত হলেও অনকেগুলো ড্রেন ময়লা আর্বজনার কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে ওই ড্রেনগুলো এখন মশার প্রজননক্ষেত্রে পরণিত হয়েছে। চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় ডীপ ড্রেন ও সড়ক  নির্মাণের কাজ করছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। ৩ মাসের বেশী সময় ধরেই বালুর মাঠ এলাকায় ড্রেন ও সড়ক নির্মাণের কাজ করছেন দায়ত্বিপ্রাপ্ত ঠিকাদার। মঙ্গলবার  সরেজমিনে দেখা গেছে বালুরমাঠের একপাশে নবনির্মিত ড্রেন দ্বারা পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় জমে থাকা পানিতে মশার প্রজননক্ষেত্র। এছাড়া চাষাঢ়া শহীদ জিয়া হলের সামনে যে ড্রেন রয়েছে তাতে পানি জমে মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। একই অবস্থা শহরের খানপুরস্থ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের পেছনের ড্রেনটিতেও।সেখানেও মশার প্রজননক্ষেত্রে। এছাড়া ৩০০ শয্যার বাউন্ডারী দেয়ালের ভিতরে একটি ডোবাও মশার প্রজননক্ষেত্রে।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে মশার উপদ্রবে অতীষ্ট নগরবাসী।বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি আবাসিক-অনাবাসিক এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে মারাত্মক হারে। দিন কিংবা রাত সবসময়ই মশার জ্বালায় অতিষ্ট নগরবাসী। অফিস,  রেস্টুরেন্ট, রাজপথ সবজায়গাতেই লেগে রয়েছে মশার সমাবেশ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে তাদের জ্বালাতন অর্বণনীয়। দামী ব্র্যান্ডের মশার স্প্রে, কয়েল কিছুই কাজে আসছে না। নারায়ণগঞ্জ মহানগর এলাকায় মশার উপদ্রব কমাতে সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচিত হচ্ছেন মেয়র আইভীসহ ওর্য়াড কাউন্সিলরা। বিশেষ করে মশার এই উপদ্রব যেখানে মহামারী আকার ধারন করেছে সেখানে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে অপ্রতুল বলেই মনে করছেন নগরবাসী। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ২৭টি ওর্য়াডেই বাসা-বাড়িতে পড়ন্ত বিকেলে থেকেই দরজা জানালা বন্ধ করেও মশার হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছে না নগরবাসী। নগরবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মশা  নির্মূলে নগরীতে ঔষধ স্প্রে করা হয়। তবে তা সকল স্থানে করা হয়না। এক এলাকায় হলে বাদ পড়ে যায় আরেকটি এলাকা।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ ও ১৭ র্অথবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী মশার নিয়ন্ত্রণ র্কাযক্রমে ব্যয় করেছে ১০ লাখ ৮১ হাজার। চলতি র্অথবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে মশার নিয়ন্ত্রণ র্কাযক্রমে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি টাকা। র্মাচ মাসের ১ তারিখ থেকে ২য় ধাপে হ্যান্ড স্প্রে ও ফগার মেশিন দিয়ে মশার নিধন  র্কমসূচি চালানো হচ্ছে। র্সবমোট ১২টি হ্যান্ড স্প্রে ও ৪টি ফগার মেশিন রয়েছে নাসিকের। এছাড়া আরও ৩টা ফগার মেশিন মেরামত করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোর র্কমসূচী শুরু করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক অপ্রতুল বলেই মনে করছেন নগরবাসী। তবে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করাটাও জরুরী বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। কারণ জমে থাকা পানিতেই জন্ম নেয় মশা। তাই উৎসস্থল র্অথাৎ মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করা গেলে সেটা মশক নিধনের ওষুধ ছিটানোর চেয়ে বেশী ফলপ্রসু হবে বলেই মনে করছেন সচেতন নারায়ণগঞ্জবাসী।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে